ইসরায়েলি সেটলাররা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। একই সময়ে আল-কুবেইবা শহরে একটি পার্ক ও শিশুদের খেলার মাঠ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়াও, সর্বশেষ অভিযানে পশ্চিম তীরে ৪০ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, সালফিত শহরের কাছে দেইর ইস্তিয়া এলাকার মসজিদটিতে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের একটি দল ঢুকে পড়ে। স্থানীয় এক মানবাধিকার কর্মীর বরাতে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, সেটলাররা মসজিদের প্রধান দরজায় জ্বালানি পদার্থ ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারা মসজিদের দেয়ালে ইহুদিবাদী ও বর্ণবাদী স্লোগানও লিখে যায়।
সৌভাগ্যবশত, স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত সাড়া দিয়ে আগুন নিভিয়ে দিতে সক্ষম হন। ফলে আগুন মসজিদের ভেতরে পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। ফিলিস্তিনের পবিত্র ধর্মীয় স্থানগুলোর ওপর এই ধরনের হামলা সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানা গেছে।
আল-কুবেইবা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান
এদিকে, জেরুজালেমের উত্তর-পশ্চিমে আল-কুবেইবা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালায়। সেখানে তারা বুলডোজার নিয়ে এগিয়ে এসে একটি পাবলিক পার্ক ও শিশুদের খেলার মাঠ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। ওয়াফা সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, পার্কের সবুজ এলাকা ও খেলার সরঞ্জামগুলো সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে।
৪০ ফিলিস্তিনি আটক
অন্যদিকে, গত বুধবার রাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরে ব্যাপক গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রিজনারস সোসাইটি পিপিএস জানিয়েছে, এই অভিযানে ৪০ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে আগে মুক্তি পাওয়া কিছু কয়েদিও রয়েছেন বলে সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে।
পিপিএস-এর বক্তব্য অনুযায়ী, হেবরন, নাবলুস, তুলকারেম ও রামাল্লা এলাকায় এই গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়। এসময় ইসরায়েলি সৈন্যরা আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ওপর শারীরিকভাবে হামলা চালায় এবং তাদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালিয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে।
পিপিএস-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরে প্রায় ২০ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। দখলকৃত এই এলাকায় নিয়মিতভাবেই এই ধরনের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
