যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে সামরিক প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে—এমনই বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম এনপিআর। এরই মধ্যে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো উপকূলে পাঁচ দিনব্যাপী নৌ মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

উত্তর ক্যারিবীয় সাগরে পৌঁছাচ্ছে যুদ্ধবিমানবাহী বিশ্বের সবচেয়ে বড় রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫ হাজার মার্কিন সেনা এবং ২ হাজার মেরিন।
এই বিশাল সামরিক উপস্থিতি অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলছে—যুক্তরাষ্ট্র কি আসলেই ভেনেজুয়েলায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে?
ট্রাম্পের ‘মনে মনে সিদ্ধান্ত’, তবে এখনো চূড়ান্ত নয়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ভেনেজুয়েলায় সরাসরি হামলার ঘোষণা দেননি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে তিনি “মনে মনে সিদ্ধান্ত” নিয়ে ফেলেছেন—যদিও বিস্তারিত জানাননি।

যুক্তরাষ্ট্র–ভেনেজুয়েলা সম্পর্ক সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তীব্র বৈরিতায় রূপ নিয়েছে। সামরিক তৎপরতা, কঠোর বক্তব্য আর আঞ্চলিক চাপ—সব মিলিয়ে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
ভেনেজুয়েলার ক্ষোভ—‘ওয়াশিংটন যুদ্ধ চায়’

ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে মার্কিন সামরিক মহড়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
কারাকাসের পেতারে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন—
“ওয়াশিংটন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মানুষ ঠিক করবে তারা তাদের জমি–পানিকে মার্কিন পরিকল্পনার জন্য উন্মুক্ত রাখবে কিনা।”

পেন্টাগন ও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি—এই সামরিক তৎপরতা মূলত মাদকবাহী নৌকা রোধের অংশ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রেরই কিছু কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে স্থল হামলার প্রস্তুতিও নেওয়া হতে পারে।

অঞ্চলে সামরিক মহড়া ও রণতরীর অবস্থান দেখে অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন—পরিস্থিতি যেকোনো সময় আরও বিপজ্জনক দিকে মোড় নিতে পারে।

 

news