সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুনেইত্রা প্রদেশে অনুপ্রবেশ করে একটি পরিবারের চার সদস্যকে অপহরণ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি এটিই ইসরায়েলের সর্বশেষ স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে জানাচ্ছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশন আল-ইখবারিয়াহ জানিয়েছে, রবিবার খান আরনাবাহ শহরের আল-হাফায়ার এলাকায় একই পরিবারের চার তরুণকে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি কনভয়ের প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা পর অপহরণ
জানা গেছে, পাঁচটি সামরিক যান নিয়ে একটি ইসরায়েলি কনভয় কুনেইত্রার দক্ষিণাঞ্চলের সাইদা আল-গোলান শহরে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা পর এই অপহরণ ঘটে। কিছু সময় অবস্থান করার পর যানগুলো ফিরে যায়।
সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি (সানা) আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী পার্শ্ববর্তী দারা’আ প্রদেশের পশ্চিমে মা’রিয়া গ্রামের উপকণ্ঠেও অভিযান চালিয়েছে।
ইসরায়েলের আগ্রাসন বাড়ছে—বিশ্লেষকদের সতর্কতা
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এবং সিরিয়ার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নিরাপত্তা চুক্তি করার লক্ষ্যে সরাসরি আলোচনায় যুক্ত হয়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েল সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে আগ্রাসন আরও বৃদ্ধি করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে সিরিয়ার আরও গভীরে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে বিভিন্ন কৌশলগত স্থানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যায়।
১৯৭৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করে দখলদারিত্ব বাড়াচ্ছে ইসরায়েল
ইসরায়েল ১৯৭৪ সালের অনাক্রমণ চুক্তির শর্ত ভেঙে অধিকৃত গোলান মালভূমি এবং সিরিয়ার মধ্যকার বাফার জোনে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে, যা কার্যত দেশটিতে তাদের দখলদারিত্ব আরও বিস্তৃত করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এইচটিএস সরকারের দুর্বল প্রতিক্রিয়া এবং তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা ইসরায়েলকে সিরিয়ায় আরও দখল বাড়ানোর পাশাপাশি বিমান হামলা বাড়ানোর ‘সাহস ও উৎসাহ’ দিচ্ছে।
