সুদানের উত্তরণ দারফুর এলাকায় মানবতা লঙ্ঘনের এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। প্যারামিলিটারি গ্রুপ র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস আরএসএফ উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশার দখলের পর মাত্র তিন দিনে ২৭,০০০ সুদানি নাগরিককে হত্যা করেছে। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন স্বয়ং দারফুরের গভর্নর মিননি আরকো মিনাওই।
এক কথায় বলতে গেলে, এই সংখ্যা আগের সব ধারণাকে ছাড়িয়ে গেছে! এর আগে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা মৃত্যুর সংখ্যা ২,৫০০ জনের বেশি বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু গভর্নরের দেওয়া নতুন এই তথ্য পূর্বাভাসের চেয়ে প্রায় দশ গুণ বেশি।
গত অক্টোবরের শেষে সুদানি সেনাবাহিনী হঠাৎ করেই এল-ফাশার থেকে সরে দাঁড়ালে শহরটি আরএসএফের দখলে চলে যায়। এর আগে শহরটি ৫৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ ছিল। শহর দখলের পরপরই গণহত্যা, নৃশংস নির্যাতন, নির্বিচারে হত্যা, যৌন সহিংসতা সহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর আসতে শুরু করে।
মানবিক সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছে, শহরে যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চলছে, তার তুলনায় খুব অল্পসংখ্যক বেসামরিক মানুষ সেখান থেকে পালাতে পেরেছে।
দারফুর সফর শেষে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার এল-ফাশারকে ‘একটি চরম ভয়ের দৃশ্য’ এবং ‘অপরাধস্থল’ বলে বর্ণনা করেছেন।
গভর্নর মিনাওই নিজেও উত্তর দারফুরের বাসিন্দা এবং আরএসএফের লক্ষ্যবস্তু হওয়া জাঘাওয়া সম্প্রদায়ের সদস্য। পোর্ট সুদানে অস্থায়ী কার্যালয় থেকে কথা বলার সময় তিনি জানান, তার নিজের পরিবারের অনেক সদস্যকেই হত্যা করা হয়েছে, যদিও তিনি বিস্তারিত বলতে চাননি।
এই নতুন তথ্য দারফুরে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র আরো ভয়াবহভাবে তুলে ধরছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ ও মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আরো জোরালো করছে।
