ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ১৩৭৫তম দিনটিও রক্তাক্ত ও উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। কৃষ্ণ সাগরে একটি তেল ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণের ঘটনা দিয়ে দিনটি মিডিয়ার শিরোনাম হয়, যা যুদ্ধের নতুন মাত্রা দেখিয়েছে।
ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিয়েভ এবং ভলগোগ্রাদে হতাহতের পাশাপাশি দুই দেশের জ্বালানি অবকাঠামোকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। এই যুদ্ধ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে থেকেছে, যা প্রতিদিনই নতুন মোড় নিচ্ছে এবং সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে।
আল জাজিরার বরাতে পার্স টুডে জানায়, যুদ্ধের ১৩৭৫তম দিনে রাশিয়ার সামরিক পাল্টা জবাবও অব্যাহত ছিল। আঞ্চলিক গভর্নর মাইকোলা কালাশনিকভ রবিবার ঘোষণা দেন যে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় একজন নিহত ও একজন শিশুসহ মোট ১১ জন আহত হয়েছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই 'ব্যাপক' আক্রমণ শুরুর কথা নিশ্চিত করে দাবি করেছে, 'সন্ত্রাসী হামলা' বলে অভিহিত করার জবাবে ইউক্রেনীয় সামরিক-শিল্প ও জ্বালানি সুবিধাগুলোর বিরুদ্ধে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় দাবি করে তারা ১৫৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন এবং দুটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টিএএসএস জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বেলগোরোড অঞ্চলে একজন এবং ভলগোগ্রাদ অঞ্চলে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
পাশাপাশি শান্তি আলোচনার পথেও চলছে নড়াচড়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার যুদ্ধ বন্ধের জন্য সমর্থনের আবেদন জানিয়ে আসছেন। তিনি দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের সচিব রুস্তম উমারভের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শান্তি আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে আরও জানানো হয়েছে, জেনেভায় আলোচনার পর 'একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির শর্ত' এবং মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে জেলেনস্কির সোমবার প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সাথে দেখা করার কথা ছিল।
