দক্ষিণ সুদানের দক্ষিণ কর্দোফান অঞ্চলে একটা ভয়ংকর বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। স্থানীয় লোকজনের কথা থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে এই দুঃখজনক খবর বেরিয়েছে। নিহতদের দাফন করতে সাহায্য করা দুজন লোক সোমবার এটা নিশ্চিত করেন। ঘটনাটা ঘটে শনিবার কোমো গ্রামে।
মানবাধিকার গ্রুপ ‘ইমার্জেন্সি লয়্যার্স’ বলছে, সেনাবাহিনীর বিমান হামলা সোজাসাপটা গ্রামের নার্সিং স্কুলটাকে লক্ষ্য করে। হামলায় ডজনখানেক ছাত্র-ছাত্রীসহ অনেক সাধারণ মানুষ মারা যায়।
হেইবান গ্রামের বাসিন্দা কাফি কালু বলেন, “বিমান হামলার খবর শুনে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি নার্সিং স্কুলে আগুন লেগে আছে। সবাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে আর লাশ দাফন করছে। প্রায় ৪০ জনকে কবর দিতে হয়েছে।”
আরেক বাসিন্দা টিহ ইসা জানান, “আমরা ৪০টিরও বেশি কবর খুঁড়েছি। ঘটনা ছিল খুবই মর্মান্তিক।”
তবে নাম না বলার শর্তে এক সুদানি সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, সেনাবাহিনী কখনো সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে হামলা করে না। যদিও ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলা এই সংঘাতে সেনাবাহিনীর হামলায় বারবার সাধারণ মানুষের মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে।
দক্ষিণ সুদানে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) আর তাদের মিত্র সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট–নর্থ এখন দারফুর আর দক্ষিণ কর্দোফানের বড় অংশ কবজায় রেখেছে। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নিতে সেনাবাহিনী আর আরএসএফের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, শুধু নভেম্বর মাসেই দক্ষিণ কর্দোফানের ছোট গ্রামগুলো থেকে নিরাপত্তার অভাবে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই চলমান যুদ্ধ এখন পর্যন্ত লাখো মানুষের জীবন কেড়েছে আর ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে ঘরবাড়া থেকে উচ্ছেদ করেছে।
