দুর্নীতির অভিযোগে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে আদালতে ঝুলছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমনকি তার বন্ধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করার প্রস্তাবকে এককথায় প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রোববার, ৭ ডিসেম্বর আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই খবরটা ছড়িয়ে পড়ে। এটা শুধু রাজনৈতিক খবর নয়, বরং দুই দেশের সম্পর্ক আর আইনের শাসনের একটা বড় পরীক্ষা।
পলিটিকো নামের মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট হার্জোগ স্পষ্ট করে বলেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বন্ধুত্ব আর তার মতামতকে খুব সম্মান করি। কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে যে ইসরায়েল একটা স্বাধীন দেশ। আমাদের আইনি ব্যবস্থাকে পুরোপুরি সম্মান করা দরকার।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এটা তো অবশ্যই একটা অসাধারণ অনুরোধ। কিন্তু যখন আমি এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব, তখন প্রথম, দ্বিতীয় আর তৃতীয় অগ্রাধিকার হবে ইসরায়েলের জনগণের ভালো। জনগণের সুখ-শান্তিই আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।” এই কথাগুলো শুনে মনে হয়, হার্জোগের মন টলেনি একটুও – সবকিছু দেশের স্বার্থের চোখে দেখছেন।

গত মাসে ট্রাম্প হার্জোগকে একটা চিঠি পাঠান ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট। সেই চিঠিতে ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলোকে 'রাজনৈতিক আর অযৌক্তিক' বলে কড়া সমালোচনা করেন। কিন্তু এসব সত্ত্বেও হার্জোগের দাঁড়ানোর জোর অটুট – ইসরায়েলের আইনই চলবে, বাইরের চাপ নয়।

 

news