বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ফিলিপিন্স অভিযোগ করেছে যে, তাদের টহল বিমানের দিকে চীনা বাহিনী তিনটি ফ্লেয়ার ছুড়েছে। এছাড়া জাপানি সামরিক বিমানের দিকে রাডার লক করার অভিযোগও উঠেছে। তবে চীনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি – এটা কি নতুন ঝড়ের শুরু?
এশিয়ার দুই বড় অর্থনীতির দেশ চীন আর জাপানের মধ্যে উত্তাপ বাড়ছে দিন দিন। টোকিওর দাবি, সম্প্রতি ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জের কাছে আন্তর্জাতিক আকাশপথে জাপানি সামরিক বিমানের দিকে ফায়ার-কন্ট্রোল রাডার তাক করেছে চীনা যুদ্ধবিমান। এই ঘটনা সত্যি হলে এটা তো বিপজ্জনক সিগন্যাল!
রোববার, ৭ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি এই ঘটনাকে কঠোর নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন ঘটনা আর না ঘটে তাই নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। জাপানের এই প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়, তারা আর চুপ করে থাকবে না।
শুধু জাপান নয়, ফিলিপিন্সের টহল বিমানকেও লক্ষ্য করে চীনা বাহিনী ফ্লেয়ার ছুড়েছে। সৌভাগ্যবশত, কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে ম্যানিলার কোস্টগার্ড। ঘটনাস্থলে চীনা হাসপাতাল জাহাজ, দুটি কোস্টগার্ড জাহাজ আর সন্দেহজনক ২৯টি মিলিশিয়া জাহাজ নোঙর করে ছিল। এটা দেখে স্পষ্ট যে, চীন এখানে পুরোপুরি দখল জমাতে চায়।
আগেও বিদেশি বিমানগুলোকে বেইজিংয়ের দাবিকৃত আকাশসীমা এড়িয়ে যাওয়ার সতর্কতায় ফ্লেয়ার ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। চীন তো দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটা নিজের বলে দাবি করে আসছে। স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে সামরিক ঘাঁটি গেড়েছে তারা – এটা তো আশেপাশের দেশগুলোর জন্য হুমকি!
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সমরমন্ত্রী পিট হেগসেথ স্পষ্ট করে বলেছেন, “ওয়াশিংটনের বেইজিংকে দমন করার কোনো উদ্দেশ্য নেই। তবে আমাদের লক্ষ্য হলো, আমাদের মিত্ররা চীনের সামরিক আগ্রাসনের শিকার না হয়।” এই কথা শুনে মনে হয়, আমেরিকা তার মিত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু যুদ্ধ চায় না।
