ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে তৈরি অ্যারা-৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে জার্মানি। আকাশ প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অ্যারা-৩ এমন একটি সিস্টেম, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে—১০০ কিলোমিটার উচ্চতায়—ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম। সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় ২,৪০০ কিলোমিটার। এটি বিস্ফোরণ ঘটানো ছাড়াই হিট-টু-কিল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ধ্বংস করে।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ এবং ইউরোপে নতুন নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে, জার্মানি এই ব্যবস্থা মোতায়েনকে নিরাপত্তা নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখছে। জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, “অ্যারা-৩ দীর্ঘ পাল্লার ব্যালিস্টিক হুমকি থেকে জার্মানি ও ইউরোপকে আগেভাগেই সতর্ক করবে এবং সুরক্ষা দেবে। এর মানে আমরা শুধু নিজেদের নয়, আমাদের অংশীদারদেরও নিরাপত্তা দিচ্ছি।”
বার্লিনের দক্ষিণে হলৎসডর্ফ এয়ারবেসে প্রথম ইউনিট চালু হয়েছে। বাভেরিয়া ও শ্লেসভিগ-হলস্টাইনে আরও দুইটি সাইট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পুরো সিস্টেমটি ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ কার্যকর হবে। এটি জার্মানির নেতৃত্বে পরিচালিত ইউরোপীয় উদ্যোগ ‘স্কাই শিল্ড ইনিশিয়েটিভ’-এর একটি প্রধান অংশ।
২০২৩ সালে জার্মানি অ্যারো-৩ কিনতে ইসরাইলের সঙ্গে ৩,৬০০ কোটি ইউরো চুক্তি করে। এটি ইসরাইলের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা রপ্তানি চুক্তি হিসেবে বিবেচিত।
