বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো আজ বৃহস্পতিবার (০২ জুন) প্রদত্ত বিবৃতিতে রাজশাহীতে ১৯৮৮ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে জামাত-শিবিরের খুনীদের হাতে মেডিকেল শেষ বর্ষের ছাত্র, ছাত্রমৈত্রীর নেতা জামিল আখতারের নির্মম খুনের সাথে সংশ্লিষ্ট ডা: কেরামতকে জামাতে ইসলামী রাজশাহী মহানগর আমীর হিসাবে নিয়োগ দানের সংবাদে গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে। 

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ অঞ্চলে দীর্ঘদিন লোক চক্ষুর অন্তরালে থাকা এই দুর্ধষ খুনীকে জামাতে ইসলামীর রাজশাহীর মহানগর আমীর পদে নিযুক্ত বিশেষ অর্থবহ। সম্প্রতি সময়ে যুদ্ধপরাধে বিচারে নেতাদের হারিয়ে এবং নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক জামাতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামাত সাধারণ ভাবে কোন প্রকাশ্য তৎপরতা করছেনা। তারা আধাপ্রকাশ্য ও গোপন ভাবে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সুযোগমত দেশ ও বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে বর্তমান সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে যে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে তাতে তারা প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে যুক্ত।

এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সকল চিহ্নিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে বসানোর বিষয়টি লক্ষনীয় ও বড় পরিকল্পনার অংশ।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয় যে এটা দুভার্গ্যজনক যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জামাতের এই তৎপরতার ব্যাপারে বিশেষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে দেখা যায় না। ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জামাত রাষ্ট্র ও সরকার, সংবিধান ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে প্রচারযুদ্ধ চালাচ্ছে সে ব্যাপারেও পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের কোন সক্রিয়তা নাই।

তার চাইতেও দুভার্গ্যজনক যে বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে রাজশাহীকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কেউ কেউ ব্যবসা অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জামাতের এই সব নেতা-কর্মীদের প্রশ্রয়ও দান করছে।

এই সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে রাজশাহীসহ সারাদেশে জামাত যে সন্ত্রাস সৃষ্টির  যে ছক এঁটেছে তা ব্যর্থ করে দিতে এখনই ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে একই সাথে বিবৃতিতে সকল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তিকে সজাগ, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামাতের গোপন-প্রকাশ্য অপতৎপরতা রুখে দিতে আহবান জানান হয়।

news