ফিলিস্তিন ও পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাসের দখলদার ইহুদিদের হাত থেকে মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল আকসা মসজিদকে মুক্ত করার জন্য মুসলমানদের জাগিয়ে তোলাই  'আল-কুদস' দিবসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ‘আল-কুদস’ দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদীদের সূক্ষ চালের কারণে ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। সারাবিশ্বের মুসলমানরা আজ তাকিয়ে আছে ফিলিস্তিনের দিকে। কবে মুক্ত হবে ‘আল-কুদস’। কবে মুসলমানরা আবার তাদের পুণ্যস্থান বায়তুল মোকাদ্দাসে স্বাধীনভাবে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারবে। কুদস দিবস মুসলমানদের হারানো সম্মান পুনরুদ্ধারের চেতনাকে ক্রমেই শানিত করছে। মূলত ‘আল-কুদস’ দিবস এক মহাজাগরণের দিন। যে জাগরণের মূল চেতনা হলো- মুসলিম ঐক্য।

নেতৃদ্বয় বলেন, মজলুম ফিলিস্তিননি জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ইহুদি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন ও তাদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটানো এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে ফিলিস্তিননি জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর মোকাবেলার জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে ‘আল-কুদস’ দিবস।

তারা আরো বলেন, জেরুজালেম নগরী বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান। সব ধর্ম-বর্ণ, জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এই নগরীকে শ্রদ্ধা করে থাকেন। সেখানে রয়েছে ইসলামের প্রথম কেবলা পবিত্র বাইতুল আকসা মসজিদ। অথচ ইহুদিদের জবরদখলে ফিলিস্তিননি মুসলিমদের জন্য সেখানে যাওয়া নিয়ন্ত্রিত।

নেতৃদ্বয় বলেন, পবিত্র রমজানুল কারিমের শেষ জুমাবার আল কুদস দিবস মুসলিম জাতির জন্য এক মহাজাগরণের দিন। এ জাগরণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন করে ঈমানি শক্তি সঞ্চয় করে গর্জে উঠুক মুসলিম উম্মাহ। সবশেষে ফিলিস্তিননি মুসলমানরা তাদের হারানো সোনালি অতীত আবারও ফিরে পাক, ইহুদিবাদীদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাক আল কুদস তথা বায়তুল মুকাদ্দাস-এই প্রত্যাশা।

news