বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আসাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ৯ বাংলাদেশি শ্রমিককে নিয়ে একটি মাইক্রোবাস দুকুম সিদরার দিকে যাচ্ছিল। পথে একটি বড় ফিশিং কন্টেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় চালককে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন:
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সারকাইত ইউনিয়নের আলী আকবার সেরাংয়ের ছেলে মোহাম্মদ আমিন সওদাগর
শহীদ উল্লার ছেলে আরজু
ইব্রাহিম মিস্ত্রির ছেলে মোহাম্মদ রকি
মনু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ বাবলু
সিদ্দিক আহমেদের ছেলে সাহাব উদ্দিন
মাইটভাঙার জামাল উদ্দিনের ছেলে জুয়েল
রহমতপুরের মো. রনি
রাউজানের আলাউদ্দিন
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা জানান, নিহতদের মধ্যে সাতজনই সারকাইত ইউনিয়নের তরুণ শ্রমিক। একই এলাকার একাধিক পরিবারের সদস্য নিহত হওয়ায় সারকাইতে শোকের ছায়া নেমেছে।
সারকাইত ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাছলিমা বেগম বলেন, একই ইউনিয়নের পাঁচ তরুণের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের বাড়িতে চলছে আহাজারি ও শোকের মাতম।
ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। নিহতদের মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দূতাবাস জানিয়েছে, আইনি ও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত মরদেহগুলো দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওমানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এই দুর্ঘটনা গভীর শোক সৃষ্টি করেছে। দূতাবাস নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
ওমানের দুখুম পুলিশ জানায়, মাইক্রোবাস ও ফিশিং ট্রাকের সংঘর্ষের সঠিক কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতি এবং দৃশ্যমানতার অভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।


