সাধারণ পরিষদে কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলামের ১৮ সেপ্টেম্বরের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করার হাইকোর্টের আদেশ এখনো স্থগিত রয়েছে। এছাড়া অনিয়মের অভিযোগে ভোটাধিকার হারানো ১৫টি ক্লাবের বিষয়ে হাইকোর্টের রুলও সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতের স্থগিতাদেশে ফের কার্যকর হয়েছে। ফলে এই ১৫ ক্লাব ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হাইকোর্টে অভিযোগ করেন যে, ১৫টি ক্লাব নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য নয়। সেই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট প্রথমে ক্লাবগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে।

এরপরই নির্বাচনে সরকারপক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে তামিম ইকবালসহ ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। আরও ৩ জন প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানান। গতকাল অন্তত ৪৮টি ক্লাব ১৫টি ক্লাবের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি জানায়।

ভোটাধিকার হারানো ১৫ ক্লাবের একটি ছিল নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স। ক্লাবটির প্রতিনিধি ছিলেন বিসিবির বর্তমান কাউন্সিলর লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। তিনি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে, নতুন রায়ের ফলে এই ক্লাবসহ বাকি ক্লাবগুলো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।

বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমান বলেছেন, ‘‘সাধারণ পরিষদে কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে বোর্ড সভাপতির চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ এখনও স্থগিত রয়েছে। ফারুক আহমেদের রিটের কারণে যে ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার স্থগিত হয়েছিল, তার মধ্যে একটি ক্লাব আপিল করলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হয়েছে। এর মানে এই ১৫টি ক্লাব ভোট দিতে পারবে। নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।’’

উল্লেখ্য, এই ১৫ ক্লাবের মধ্যে স্রেফ ইফতেখার রহমান মিঠু পরিচালক পদে প্রার্থী ছিলেন। হাইকোর্টের আগের রুলে তার নাম চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায়ের পর তার প্রার্থিতা ফিরে পাবেন কি না, তা এখনো চূড়ান্তভাবে জানা যায়নি।

 

news