আবুধাবি থেকেই আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোর খেলতে দুবাই গিয়েছিল বাংলাদেশ। শারজাহ হয়ে ফের আবুধাবিতে ফিরেছে দল। সেই চেনা স্টেডিয়ামে এবার আবার মুখোমুখি আফগানিস্তান। তবে গত তিন সপ্তাহে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। আগে যেই আফগান দলে কিছুটা আতঙ্ক সৃষ্টি করত, সেই ভয় এখন আর নেই। টানা চারটি টি২০ ম্যাচে রশিদ খানদের হারিয়েছে বাংলাদেশ।

এই সময়ে বাংলাদেশের জন্য বড় সুখবর সাইফ হাসান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু টেস্ট দিয়ে হলেও এখন তিনি টি২০ দলের সবচেয়ে বড় আস্থার নাম। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওডিআইতে হতে যাচ্ছে তার অভিষেক। টিম ম্যানেজমেন্ট আশা করছে, তিলকোটে দেখানো তার ফর্ম ও ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

বাংলাদেশ দলের মধ্যে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। প্রায় তিন মাস পর ওডিআই খেলতে নামছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। আফগানিস্তানের পক্ষেও পরিস্থিতি বাংলাদেশের চেয়ে করুণ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর গত বছর থেকে রশিদ খানরা ওডিআই খেলেননি। আট মাস পর ফের এই ফরম্যাটে নামছেন তারা।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সবগুলোই আবুধাবিতে হবে। তাই কন্ডিশন এবং পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সমস্যা নেই সাইফদের। তবে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও তানভীর ইসলামদের জন্য মানিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। ২০২৭ বিশ্বকাপ মাথায় রেখে দুই দলই স্কোয়াডে কিছু পরিবর্তন এনেছে।

এশিয়া কাপ টি২০তে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স না করায় ফজলহক ফারুকি, গুলবাদিন নায়েব ও মোহাম্মদ নুর বাদ পড়েছেন। আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবির স্পিননির্ভর। নবাগত পেসার বশির আহমেদ ও আব্দুল্লাহ আহমেদজাইও থাকতে পারেন।

লিটন দাস না থাকায় মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানদের কম্বিনেশন হবে। এই চারজনের মধ্যে একজন বাদ পড়তে পারে, এবং সেটা যদি অধিনায়ক জাকের আলী হন, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে আজকের ম্যাচের মূল আকর্ষণ সাইফ হাসান। তানজিদ তামিমের সঙ্গে ওপেনিং করতে দেখা যেতে পারে তাকে।

সাইফের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের প্রথম ইনিংসে শূন্য, আর ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ অভিষেকেও ৮ বল খেলে মাত্র ১ রান করেছিলেন। এবার তিনি ওডিআই অভিষেকে রঙিন সূচনা করতে চাইবেন। ১৪৫টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলার পর এই ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথমবার নামবেন।

বাংলাদেশের লক্ষ্য ওডিআইতেও আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করা। দুই দলের চারটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ এখন পর্যন্ত সমান, ২-২। ওডিআইতে বাংলাদেশ জিতেছে ১১ বার, আফগানরা ৮ বার।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), শামীম হোসেন, জাকের আলী, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান

আফগানিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, সেদিকুল্লাহ আতাল, রহমত শাহ, হাসমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), ডারউশ রাসুলি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, নানগেয়েলিয়া খারোত, বশির আহমাদ

news