ইংল্যান্ডের কোচ টমাস টুখেল জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে তার দল আন্ডারডগ হিসেবেই মাঠে নামবে। তার মতে, দলীয় ঐক্য এবং শৃঙ্খলা ছাড়া সাফল্য অসম্ভব। তাই বিশ্বকাপের জন্য টুখেল পরিকল্পনা করছেন দলকে একত্রিত রেখে সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর টুখেলের অধীনে ইংল্যান্ড খেলেছে ছয়টি ম্যাচ, যার মধ্যে পাঁচটিতে জয় এবং একটিতে হার, যা হয়েছে সেনেগালের বিপক্ষে। আগামী সপ্তাহে দল ওয়েলসের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ ও লাতভিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে। টানা দুই ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালিস্টরা এবার বিশ্বকাপের টিকিটের জন্য খুব কাছে।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কিছু ম্যাচে টুখেল বড় তারকাদের বাদ দিয়েছেন। তার মূল লক্ষ্য দলীয় ব্যালান্স এবং বিশ্বকাপে ভালো খেলা। তিনি সাবেক কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের সময়ের ঐক্যবদ্ধ দলীয় বন্ধন ধরে রাখতে চান। টুখেল বলেন,
‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে সফল দল মানেই ঐক্যবদ্ধ দল। সবাইকে একসাথে থাকতে হবে, তবেই ফল আসবে।’

বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাস বলছে, আমেরিকায় আয়োজিত সাতটি বিশ্বকাপের মধ্যে ছয়টিতে জিতেছে দক্ষিণ আমেরিকার দল। তাই এবারের বিশ্বকাপে ইউরোপীয় দলগুলোর জন্য পরিবেশ বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

টুখেল স্পষ্ট করেছেন, ‘আমরা আন্ডারডগ হিসেবেই খেলতে যাব। এক দশক ধরে বিশ্বকাপ জিতিনি। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই সময়ে জয়ী হয়েছে। তাই আমাদের একত্রিত দল হিসেবে খেলতে হবে, অন্য কোনো উপায় নেই।’

ইংল্যান্ড শেষ চারটি বিশ্বকাপেও শেষ চার নিশ্চিত করেছে, কিন্তু প্রতিবার হতাশ হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে। তাই টুখেল ইতিহাস এবং পরিস্থিতির ভিত্তিতে ইংল্যান্ডকে আন্ডারডগ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
‘যদি তুমি জনপ্রিয় হলেও উইম্বলডন না জিতে থাকো, তাহলে তুমি সত্যিকারের জনপ্রিয় নও।’

বিশ্বকাপের সম্ভাব্য শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে তিনি ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন এবং ফ্রান্সের নাম উল্লেখ করেছেন। তবে টুখেল বলেছেন, ‘প্রথমে আমাদের কোয়ালিফাই করতে হবে, তারপর সুযোগ নিয়ে ভাবা যাবে।’

নিজেদের আন্ডারডগ হিসেবে ভাবার পেছনে টুখেল আরও যুক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘২০০৮ সালের বিশ্বকাপে আন্ডারডগ মেন্টালিটি নিয়েই ইংল্যান্ড সেমিতে পৌঁছেছিল। একই মাইন্ডসেট ব্যবহার করলে এবারও দল উপকৃত হবে।’

টুখেল মনে করেন, ‘দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভূমিকা সঠিকভাবে বোঝা গেলে পুরো দলের জন্য সুবিধা হবে।’

 

news