বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা জেতার জন্য কৌশল নয়, খেলোয়াড়দের মানসিকতা ও মনোভাবই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

প্রায় দুই যুগ আগে শেষবার বিশ্বকাপ জয় করেছিল ব্রাজিল। এরপর থেকে বিশ্বসেরার মঞ্চে ফাইনালে উঠতে পারেনি সেলেসাওরা। গত মে মাসে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর কোচ আনচেলত্তি সীমিত সময়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

বাছাইপর্ব শেষে আগামী বছর উত্তর আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করবে ব্রাজিল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে।

সিউলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেন,
“আমাদের আরও কিছু ট্যাকটিক্যাল কাজ দরকার, খেলার কৌশল পরিশীলিত করতে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সবচেয়ে জরুরি হলো খেলোয়াড়দের মনোভাব। সেটি গড়ে তুলতে খুব বেশি সময় লাগে না।”

প্রথম চার ম্যাচে তিনি কখনও ৪-২-৪ আবার কখনও ৪-৩-৩ ফরমেশনে দল সাজিয়েছেন। প্যারাগুয়ে ও চিলির বিপক্ষে ৪-২-৪ ফরমেশনে জয় পেলেও, একুয়েডরের সঙ্গে ড্র এবং বলিভিয়ার কাছে হেরে সেলেসাওরা।

তবুও দলের রক্ষণভাগ নিয়ে সন্তুষ্ট আনচেলত্তি বলেন,
“জুন ও সেপ্টেম্বরে দলের ডিফেন্সিভ পারফরম্যান্স আমার ভালো লেগেছে। তারা ঐক্যবদ্ধ, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দৃঢ়তার সঙ্গে রক্ষণভাগ সামলেছে।”

বল নিজেদের দখলে রাখতে আরও উন্নতির প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন,
“আমাদের কাছে প্রচুর মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, সেটা মাঠে ফুটিয়ে তুলতে হবে। আপনি চার, তিন বা পাঁচজন ফরোয়ার্ড নিয়েও খেলতে পারেন, কিন্তু মূল ব্যাপার হলো নিজেদের মান প্রদর্শন করা। খেলোয়াড়দের মনোভাব ও পেশাদারিত্বের কারণে আমি দলের ইতিবাচক পরিবেশটা সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছি।”

২০০২ সালে পঞ্চম বিশ্বকাপ জয় করে ব্রাজিল। পরের পাঁচ আসরে কেবল একবার সেমি-ফাইনালে উঠতে পেরেছে। বিশ্বকাপে ষষ্ঠ শিরোপা জেতার লক্ষ্যে আনচেলত্তি বলেন,
“আমাদের লক্ষ্য একটাই, বিশ্বকাপ জেতা। আমি এমন খেলোয়াড় চাই, যারা বিশ্বসেরা হতে নয়, বিশ্বকাপ জিততে খেলবে।”

আগামী মঙ্গলবার টোকিওতে জাপানের বিপক্ষে আরও একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।

 

news