জাতীয় ক্রিকেট লিগ যেন কেবল সেঞ্চুরির মহড়াই দেখে গেল! শততম টেস্ট খেলার আগে ঝলমলে এক সেঞ্চুরি হাঁকালেন তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তবে তাঁর এই সেঞ্চুরির ম্যাচটিও নিষ্প্রাণ ড্রয়ে শেষ হলো ঢাকা ও সিলেটের মধ্যে। দিনের আরেক ম্যাচে ময়মনসিংহের বিপক্ষে ফলোঅনে পড়েও কোনোমতে ড্র নিশ্চিত করেছে রংপুর বিভাগ।
মুশফিকের সেঞ্চুরি ও 'ক্ষিপ্ত' উদযাপন
ঢাকার দেওয়া ৩১০ রানের জবাবে আগের দিন ৭ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছিল সিলেট। মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৯৩ রানে। বুধবার সকালে তাঁর সেঞ্চুরি যেন ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা! দিনের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করে ক্ষিপ্ত মেজাজে উদযাপন করতে দেখা যায় তাঁকে।
সাহানুর রহমান ৩০ এবং তোফায়েল আহমেদ ২৭ রান করে মুশফিককে দারুণ সঙ্গ দেন। তাইবুর রহমানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ২০৫ বলে ১১৫ রানের নজরকাড়া ইনিংস। তাঁর বিদায়ে ২৯০ রানে থামে সিলেটের প্রথম ইনিংস।
পুনরায় ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা ২ উইকেটে ২২২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন ওপেনার জিসান আলম। ৯টি চার ও ৪টি ছক্কার মারে ৯৪ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি।
আশিকুর রহমান শিবলি ১৩৩ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া আনিসুল ইসলাম ৩৬ এবং মার্শাল আইয়ুব ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ বিকেলে বিনা উইকেটে ১৩ রান করে ড্র নিশ্চিত করে সিলেট।
কক্সবাজারে সেঞ্চুরির বন্যা, ফলোঅনেও বাঁচা
অন্যদিকে, কক্সবাজারের একাডেমী গ্রাউন্ডে দেখা গেল তিন সেঞ্চুরির দাপট। মাহফিজুল ইসলাম রবিন, নাইম শেখ এবং আব্দুল মজিদের সেঞ্চুরির ম্যাচটিও শেষ হয়েছে ড্রতে। এই তিন ব্যাটারের সৌজন্যে ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৫৫৫ রানের বিশাল স্কোর তুলে দারুণ অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রংপুর তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৭ রানে অল আউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে। আগের দিন ১৮ রান তুলতেই তারা হারায় ২ উইকেট। কেবল আলাউদ্দিন বাবু ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ময়মনসিংহের হয়ে আরিফ আহমেদ ৩টি এবং আবু হায়দার রনি ও শহিদুল ইসলাম ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
ফিরতি ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য আর কোনো ভুল করেনি রংপুর। ২ উইকেটে ১১২ রান তুলে তারা ড্র নিশ্চিত করে। মিম মোসাদ্দেক ১৭ ও ইকবাল হোসেন ৮ রানে ফিরলেও অপরাজিত থাকেন আবদুল্লাহ আল মামুন (৬৯) এবং জাহিদ জাভেদ (১০)।
