জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অন্যতম নির্ভরযোগ্য মুখ ছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস। নিয়মিত পারফর্মার, অভিজ্ঞ খেলোয়াড় — সব দিক থেকেই দলের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। কিন্তু ৩৯ বছর বয়সে এসে মাদকের ছোবলে শেষ হয়ে গেল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

চলতি বছর আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার শুরুর আগেই হঠাৎ দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন উইলিয়ামস। তখন কারণ নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। পরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের তদন্তে বেরিয়ে আসে, ডোপ টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়ার ভয়েই সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

অবশেষে তদন্তে সব প্রমাণ সামনে আসার পর উইলিয়ামস স্বীকার করতে বাধ্য হন। ফলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে আর কখনো তাকে জাতীয় দলে বিবেচনা করা হবে না।

এখানেই শেষ নয়, বোর্ডের ভাষায়, মাদকের পাশাপাশি শন উইলিয়ামসের শৃঙ্খলাভঙ্গের ইতিহাসও দীর্ঘদিনের। সংস্থার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়,

“বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা এবং দলীয় নীতিমালা ও অ্যান্টি-ডোপিং নিয়মের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য প্রত্যাশা করি।”

উইলিয়ামসের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে বোর্ড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সেই চুক্তি নবায়ন করা হবে না।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শন উইলিয়ামস জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৪টি টেস্ট, ১৬৪টি ওয়ানডে এবং ৮৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাট হাতে করেছেন প্রায় ৯ হাজার রান, আর বল হাতে নিয়েছেন ১৬১ উইকেট।

তবে সব অর্জন এখন ম্লান, কারণ একটি ভুল সিদ্ধান্ত তার পুরো ক্যারিয়ারকেই ধ্বংস করে দিলো।

 

news