পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভি দুবাইয়ে আইসিসির ত্রৈমাসিক সভায় বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন, হয়তো পদই হারাবেন।

দুবাইয়ে আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ সভায় রাজনৈতিক ঝড় উঠতে চলেছে। মূল আলোচনা: এশিয়া কাপ ২০২৫ ট্রফি নাটক, ইউএসএ ক্রিকেটের গভীর সংকট আর আইসিসি-বিশ্ব ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউসিএ) খেলোয়াড় ইমেজ রাইটস নিয়ে তুমুল লড়াই।

জয় শাহ নাকভির ভাগ্য নির্ধারণ করবেন আইসিসি সভায়

উচ্চপর্যায়ের এই সভাগুলো শুরু হবে ৫ নভেম্বর আইসিসি চিফ এক্সিকিউটিভদের বৈঠক দিয়ে, তারপর ৭ নভেম্বর মূল বোর্ড সভায় আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহসহ বিশ্ব ক্রিকেট প্রধানরা অনেক ইস্যুর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।

আরও পড়ুন: আইসিসি শাস্তি থেকে লুকোচ্ছেন মহসিন নাকভি, জয় শাহর ভয়ে পাকিস্তানেই আটকে

এশিয়া কাপ বিতর্ক অফিসিয়াল এজেন্ডায় না থাকলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় রাজত্ব করবে, এমনকি এসিসির ভেতর বড় ধরনের রদবদল ডেকে আনতে পারে।

এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ট্রফি জিতলেও ভারত মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেয়নি। পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এই ভঙ্গি। এসিসি চেয়ারম্যান ট্রফি নিজের কাছে নিয়ে যান, চ্যাম্পিয়ন দলকে দেননি। ফাইনালের পর থেকে ট্রফি ইউএইয়ের এসিসি অফিসে তালাবদ্ধ।

এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে নাকভির অবস্থান তাঁকে বিপদে ফেলেছে

নাকভি বলেছেন, শুধু তিনিই ট্রফি দিতে পারবেন। এতে বিসিসিআই কর্তারা ক্ষুব্ধ। আইসিসির কাছের সূত্র জানাচ্ছে, এই বিতর্ক নাকভিকে এসিসি প্রধান পদ থেকে সরাতে পারে, অনেক বোর্ড সদস্য ‘ইমপিচমেন্ট’ ধাঁচের প্রস্তাব চাইছেন।

পর্দার পিছনে এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যে ‘স্ক্রিপ্ট’ হয়ে গেছে। দুবাইয়ে বোর্ড অনুমোদন দিলে জয় শাহ চূড়ান্ত আদেশে সই করবেন।

ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা এ বছর মাঠের বাইরেও ছড়িয়েছে। বিসিসিআই-পিসিবির সম্পর্ক দুই দেশের সরকারের রাজনৈতিক শত্রুতার ছায়া ফেলেছে।

এশিয়া কাপেই উত্তপ্ত মুহূর্ত: হ্যান্ডশেক না করা, রাজনৈতিক ইঙ্গিত—হ্যারিস রউফ, সূর্যকুমার যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহ ও সাহিবজাদা ফারহান।

আরও পড়ুন: কেকেআর-দিল্লি ডিল ভেস্তে ১ খেলোয়াড়ের জন্য! আর সে কেএল রাহুল নয়

আইসিসি বোর্ড সদস্যরা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়ন চান

নাকভির রাজনীতি ও ক্রিকেটের দ্বৈত ভূমিকা বিষয়টিকে আরও জটিল করেছে। এসিসি প্রধান দুবাই সভায় সশরীরে আসবেন নাকি ভার্চুয়ালি, অনিশ্চিত—পদচ্যুতির গুঞ্জন বাড়ছে।

পর্দার পিছনে ক্রিকেট প্রশাসকরা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক রিসেট চান—কূটনীতির জন্য এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিশাল বাণিজ্যিক প্রভাবের জন্য। দুবাইয়ের আগামী দিনগুলো এশিয়ান ক্রিকেটের ক্ষমতার গতিপথ নির্ধারণ করবে।

 

news