দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জাতীয় স্টেডিয়ামকে বাধভাঙা উল্লাসে মাতিয়ে দিলেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। আর মাত্র চার মিনিট পরই সেই আনন্দ হয়ে গেল দ্বিগুণ! পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে মাত্র পাঁচ মিনিটের ম্যাজিক দেখিয়ে লিডে নিয়ে এলেন এই তারকা ফরোয়ার্ড।

ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল নেপাল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৪ মিনিট খেলা শেষে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে। আর লাল-সবুজ জার্সির হয়ে গোলই করেছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী।

হতাশাজনক প্রথমার্ধ শেষ করেছিল বাংলাদেশ, ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে। সতীর্থদের গোল করাতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই বিরতিতে গিয়েছিলেন হামজা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই সেই আক্ষেপ পুরোপুরি মিটিয়ে দিলেন তিনি। এই অর্ধেকের প্রথম মিনিটেই তাঁর এক দুর্দান্ত ওভারহেড কিকে গোল করে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে সমতা আনে। ডান পাশ থেকে ফাহিমের ক্রস নেপালের একজন ডিফেন্ডার হেড করে clear করতে চান, কিন্তু বলটি বক্সের বাইরে চলে যায় জামাল ভূঁইয়ার কাছে। জামালের বাড়ানো বলটি উল্টো হয়ে বাই-সাইকেল কিকের মাধ্যমে জালের অন্দরে পাঠান হামজা 

সমতা ফেরার মাত্র তিন মিনিট পরই জাতীয় স্টেডিয়ামের উল্লাস দ্বিগুণ হয়ে যায়। ৪৮তম মিনিটে রাকিব হোসেন নেপালের বক্সে ফাউলের শিকার হন, যার ফলে বাংলাদেশ পেনাল্টি লাভ করে। স্পট কিক থেকে নেপালের গোলরক্ষককে কূলকিনারা করে লাল-সবুজ জার্সিতে নিজের চতুর্থ গোলটি পাকাপোক্ত করেন হামজা।

হতাশাব্যঞ্জক প্রথমার্ধের পর দলের attacking power বৃদ্ধি করতে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুতেই সোমিত সোমকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

এর আগে, প্রথমার্ধে বক্সের ভেতর কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। উল্টো ২৯তম মিনিটে সুযোগ পেয়ে এগিয়ে যায় নেপাল। বাংলাদেশের রক্ষণে আচমকা ঢুকে কাট-ব্যাক থেকে বল পেয়ে নিচু শটে গোল করেন রোহিত চাঁদ।

গত পাঁচ বছরে নেপালের বিপক্ষে ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে শেষ ৫ ম্যাচেই জয় পায়ি বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয় ছিল ২০২০ সালে। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই ড্র এবং দুটিতে জয় নিয়েছে নেপাল। তবে হামজার এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের কল্যাণে এবার সেই ডেডলক ভাঙার শক্ত সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

 

news