ভারতের তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া কটক টি–টোয়েতে ম্যাচসেরার পারফরম্যান্সের পর জানালেন, লম্বা ইনজুরি–যাত্রা তার মানসিকভাবে কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কঠিন সময় পার করতে পাশে থাকার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানালেন প্রিয়জনদের—বিশেষ করে তার প্রেমিকা মাহিয়েকা শর্মাকে, যাকে হার্দিক নিজের জীবনের ‘সব ভালো ঘটনার’ মূল কারণ বলে উল্লেখ করেছেন।
দুই মাস পর মাঠে ফিরেই ধুন্ধুমার হার্দিক
এশিয়া কাপ ২০২৫–এর সময় কোয়াড ইনজুরিতে পড়ে প্রায় দুই মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বাইরে ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া সফর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে—সবই মিস করেন।
দেশের হয়ে ফেরার আগে সায়েদ মুশতাক আলি ট্রফিতে বারোদার হয়ে দুর্দান্ত খেলেন—এক ম্যাচে করেন ৭৭, আরেক ম্যাচে নেন ম্যাচ–উইনিং স্পেল। তাই দ্রুতই ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের টি–টোয়েন্টি দলে।
এবং ফিরেই ছড়ালেন আগুন—দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ২৮ বলে খেললেন ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। মিলারকে আউট করে নিলেন তার একমাত্র উইকেটটিও।
"দশ মিনিট ঝড় তুললেই দর্শক পাগল—এটাই আমার সবচেয়ে বড় মোটিভেশন"
ম্যাচ শেষে হার্দিক বললেন—
“তুমি স্টেজে ওঠো, দশ মিনিট আগুন ঝরাও, আর ভিড় পাগলের মতো চিৎকার করে—এটাই আমার বড় প্রেরণা।”
কটকের দর্শকও যেন সেটাই প্রমাণ করে দিল—হার্দিক মাঠে নামতেই গ্যালারি ফেটে পড়ে।
"নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকলে অন্যরা কেন বিশ্বাস করবে?"
ইনজুরি, সমালোচনা, দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন—সবকিছুর মুখোমুখি হয়েছেন বারবার। কিন্তু তার মতে, আত্মবিশ্বাসই তাকে টিকিয়ে রেখেছে।
হার্দিক বলেন—
“জীবন আমাকে বারবার লেবু ছুঁড়ে দিয়েছে, আর আমি সেগুলো দিয়ে লেমোনেড বানিয়েছি।”
“নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকলে অন্যরা কেন বিশ্বাস করবে? প্রতিবারই আমি ভেবেছি—আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব।”
মাহিয়েকাকে নিয়ে বিশেষ বার্তা
নিজের জীবনে সবচেয়ে বড় সমর্থন হিসেবে উল্লেখ করেন প্রেমিকা মাহিয়েকা শর্মাকে।
তিনি বলেন—
“আমার কাছের মানুষরা আমাকে মানসিকভাবে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। আর বিশেষ করে আমার পার্টনার—সে আমার জীবনে আসার পর অনেক ভালো ঘটনা ঘটেছে। সে সত্যিই আমার জন্য সর্বোত্তম।”
‘বিগার, বোল্ডার, বেটার’—নতুন মন্ত্র হার্দিকের
তার মতে, ব্যক্তিত্ব ও সততা তাকে আরও পরিণত করেছে।
“আমি সবসময় সৎ ছিলাম, নিজের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিয়েছি। এখন শুধু ক্রিকেট খেলতে চাই, প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই। আমার জীবনের নতুন মন্ত্র—বিগার, বোল্ডার অ্যান্ড বেটার।”
