আইপিএল ২০২৬ নিলাম আর মাত্র কয়েকদিন দূরে। ১৬ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে জমজমাটভাবে বসবে এই মরসুমের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট বাজার। এ বছর নিলামে নাম থাকবে ৩৫৯ জন ক্রিকেটারের, যদিও প্রথমে নিবন্ধন করেছিলেন ১৩০০-এরও বেশি খেলোয়াড়।
মোট ৭৭ জন খেলোয়াড়, যার মধ্যে ৩১ জন বিদেশি, দলগুলো কিনতে পারবে এবার। তবে নিলাম যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই আলোচনায় বাড়ছে এক প্রশ্ন—
আইপিএল নিলাম কি আর তরুণ প্রতিভাদের জন্য ন্যায্য থাকছে?
কেন আইপিএল নিলাম তরুণদের জন্য কম ন্যায্য হয়ে উঠছে?
১. দলগুলো প্রতিষ্ঠিত তারকাদেরই বেশি পছন্দ করে
আইপিএল এমন কোনো লিগ নয় যেখানে দলগুলো তরুণদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় গড়ে তোলে। এখানে বিনিয়োগ মানেই তাৎক্ষণিক ফল চাওয়া।
ফলে দলগুলো ঝুঁকি না নিয়ে ভরসা রাখে পুরনো তারকাদের ওপর।
নিলামে যাদের আগের পারফরম্যান্স ঝকমক করে—তারাই মূলত বেশি দামে বিক্রি হন। এতে নতুনদের জায়গা আরও ছোট হয়ে আসে।
২. স্কাউটিং ও ট্রায়ালে অসমতা
কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি, বিশেষ করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দুর্দান্ত স্কাউটিং সিস্টেমের জন্য পরিচিত। হার্দিক পান্ডিয়া ও যশprit বুমরাহ—এই দুজনই তাদের স্কাউটিংয়ের সাফল্যের বড় উদাহরণ।
এমনকি দুজনকে খুব কম দামে দলে নিয়েছিল এমআই।
কিন্তু সত্য হলো—সব দল এত শক্তিশালী স্কাউটিং নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেনি। ফলে বড় সংখ্যক প্রতিভাবান তরুণ চোখেই পড়ে না।
কখনো বা কোনো একটি-দুটি দল নজরে আনলেও নিলামে বড় দামে তোলার সম্ভাবনা কম থাকে।
৩. তরুণদের নিয়ে ‘হাইপ’ কম
যদি না কোনো তরুণ ক্রিকেটার একেবারে অবিশ্বাস্য কিছু করে, ততক্ষণ তাকে নিয়ে বাজারে খুব বেশি আলোচনা তৈরি হয় না।
আর সবাই জানে—আইপিএল নিলাম অনেকটাই পরিচালিত হয় ধারণা ও প্রচার দিয়ে।
উদাহরণস্বরূপ,
গত মৌসুমে ঝড় তোলা বৈভব সূর্যবংশী—লিগ মাতালেও নিলামে কোনো ‘বিডিং ওয়ার’ তৈরি হয়নি তাকে ঘিরে।
তাই মোটা অঙ্কের চুক্তির জন্য পারফরম্যান্সের পাশাপাশি হাইপ তৈরি করাও জরুরি হয়ে পড়ছে তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য।
সারমর্ম
মোট কথা, আইপিএল যত বাণিজ্যিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে, ততই প্রতিষ্ঠিত তারকারা বাজার দখল করে নিচ্ছেন। স্কাউটিং বৈষম্য, সীমিত প্রচার এবং তাৎক্ষণিক ফলের চাপ—সব মিলিয়ে তরুণ ভারতীয় প্রতিভাদের সামনে পথ কঠিন হয়ে উঠছে।
