দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অতিরিক্ত ওয়াইড বল করে সমালোচনায় পড়েছিলেন অর্শদীপ সিং। সেই ম্যাচের পর এবার প্রকাশ্যেই ভারতের বোলিং কোচ মর্নে মর্কেলের কাছে ক্ষমা চাইলেন এই বাঁহাতি পেসার। অর্শদীপের মতে, তার লাগাতার এক্সট্রা বলের কারণে কোচের কৌশল নিয়েও ভুল বার্তা ছড়াতে পারে।
ধর্মশালায় ভারতীয় বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর, বোলিং কোচ মর্কেল এবং সেই ম্যাচের দুই তারকা পেসার একসঙ্গে ভারতের সফল বোলিংয়ের রহস্য ব্যাখ্যা করেন। সেই আলোচনায় ছিল হাসি-ঠাট্টা, আবার সঙ্গে ছিল দায়িত্ববোধ আর ক্ষমা চাওয়ার মুহূর্তও—যা কোচের প্রতি খেলোয়াড়দের সম্মান স্পষ্ট করে দেয়।
নিউ চণ্ডীগড়ে ‘ওয়াইড বল’ বিতর্কে মর্কেলের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা অর্শদীপের
নিউ চণ্ডীগড়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অর্শদীপের দিনটা একেবারেই খারাপ কেটেছিল। নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দীর্ঘ ওভার করেন তিনি—এক ওভারে ৭টি ওয়াইড! প্রতিবারই বল হাতছাড়া হলেই ক্যামেরা ঘুরে যাচ্ছিল ডাগআউটে বসা মর্নে মর্কেলের দিকে।
এই প্রসঙ্গে অর্শদীপ বলেন,
“শেষ ম্যাচের পর মর্নে আমাকে বলেছিল, আমি নাকি ওকে অনেক বেশি স্ক্রিন টাইম দিয়েছি। যতবার আমি ওয়াইড করেছি, ক্যামেরা সরাসরি কোচের দিকেই গেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“হয়তো মানুষ ভুলভাবে ভেবেছে যে মর্নে ঠিক কৌশল দেয়নি বা বোলারদের সঙ্গে যথেষ্ট অনুশীলন করেনি।”
মজার ছলে অর্শদীপ আরও বলেন,
“এই উইকেটে যদি মর্নে নিজে খেলত, তাহলে আমি হয়তো একাদশেই জায়গা পেতাম না!”
“রাত ১২টায় জানলাম আমি খেলছি” — হর্ষিত রানার বিস্ময়
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জসপ্রিত বুমরাহর জায়গায় দলে সুযোগ পান হর্ষিত রানা। ম্যাচের আগ পর্যন্ত নিজের খেলার বিষয়েই নিশ্চিত ছিলেন না তিনি।
হর্ষিত বলেন,
“রাত ১২টায় গিয়ে জানতে পারি, আমি পরের দিনের ম্যাচে খেলছি।”
ব্যক্তিগত কারণে বুমরাহ হঠাৎ অনুপলব্ধ হয়ে পড়ায় দলে সুযোগ পান হর্ষিত। নিজের বোলিং নিয়ে তিনি বলেন,
“আমার উচ্চতা আর পিচ থেকে যে বাউন্স পাই, এমন উইকেটে ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারতাম।”
“স্ক্রিনে শুধু আমিই!”—হাসতে হাসতে বললেন মর্কেল
ভারতীয় বোলিং যখনই চাপে পড়ে, তখন কোচ মর্নে মর্কেল প্রায়ই ক্যামেরার ফোকাসে চলে আসেন। নিউ চণ্ডীগড় ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
মর্কেল মজা করে বলেন,
“৫০ ওভারের দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে মেসেজ পেয়েছি—তারা বলছে, আমি নাকি নিজের আলাদা চ্যানেলের জন্য টাকা দিই! কারণ ম্যাচে স্ক্রিনে শুধু আমাকেই দেখা গেছে।”
এই পুরো ঘটনায় বোঝা যায়—চাপের ম্যাচ, ভুল, সমালোচনা—সবকিছুর মাঝেও ভারতীয় শিবিরে সম্পর্কটা এখনো বন্ধুত্ব আর পারস্পরিক সম্মানেই ভরপুর।
