ইশান কিষান ঘরোয়া সিজনে ঝাড়খণ্ডের হয়ে দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৬ এবং আগামী মাসে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি২০আই সিরিজের জন্য ভারতের টি২০আই দলে ফিরেছেন তিনি।
বিজয় হাজারে ট্রফি ২০২৫-২৬-এ সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আহমেদাবাদে ঝাড়খণ্ডকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে রেকর্ড সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ইশান।
ইশান কিষানের ওডিআই কামব্যাক প্রায় নিশ্চিত ৩৩ বলের সেঞ্চুরির পর
ইশান কিষান সৌরাষ্ট্রের বোলিং অ্যাটাককে ধ্বংস করে দিয়েছেন লিস্ট এ ইতিহাসের অন্যতম হিংস্র ইনিংসে। বাঁহাতি এই ব্যাটার মাত্র ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করে ওডিআই কামব্যাকের দাবি জোরালো করেছেন।
এটা ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট এ-তে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গতির সেঞ্চুরি। সাকিবুল গানির ৩২ বলের সেঞ্চুরি এখনো শীর্ষে। দুজনের রেকর্ড ইনিংসই ২৪ ডিসেম্বর খেলা।
নাম বল ম্যাচ
সাকিবুল গানি ৩২ বিহার বনাম অরুণাচল প্রদেশ
ইশান কিষান ৩৩ ঝাড়খণ্ড বনাম কর্ণাটক
অনমোলপ্রীত সিংহ ৩৫ পাঞ্জাব বনাম অরুণাচল প্রদেশ
বৈভব সূর্যবংশী ৩৬ বিহার বনাম অরুণাচল প্রদেশ
যুসুফ পাঠান ৪০ বরোদা বনাম মহারাষ্ট্র
ধারাবাহিক ঘরোয়া পারফরম্যান্সে টি২০আই কামব্যাকের পর এই সেঞ্চুরি ওডিআই দলে ফেরার পথ খুলে দিতে পারে। ইশানের এই দুর্দান্ত ফর্ম কেএল রাহুলের ওডিআই দলে জায়গার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
ঘরোয়া সিজনে দাপট দেখাচ্ছেন ইশান কিষান
আহমেদাবাদে সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে ঝাড়খণ্ড অধিনায়ক মাত্র ৩৯ বলে ১২৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন—৭ চার ও ১৪ ছক্কা সহ। তার ঝোড়ো সেঞ্চুরির সুবাদে ঝাড়খণ্ড ৫০ ওভারে ৪১২/৯ তোলে। বিরাট সিংহ (৮৮) ও কুমার কুশাগ্র (৬৩)ও দারুণ হাফ-সেঞ্চুরি করেন ঝাড়খণ্ডের হয়ে।
এই মাসের শুরুতে ইশান ঝাড়খণ্ডকে প্রথমবার সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি জিতিয়ে ম্যাচ জয়ী সেঞ্চুরি করেন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন ৫১৭ রান করে। ফাইনালে মাত্র ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেন, যা পুরুষদের টি২০ টুর্নামেন্ট ফাইনালে তৃতীয় সর্বোচ্চ গতি।
এই ইনিংসে তিনি সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি ফাইনালে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটার হন। টি২০ টুর্নামেন্টে পাঁচ সেঞ্চুরি করে অভিষেক শর্মার সঙ্গে যুগ্ম সর্বোচ্চে পৌঁছে গেলেন।
ভারতীয় দলে ফেরার পথ
ডিসেম্বর মাসটা ইশান কিষানের ক্যারিয়ারে নির্ধারক হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ব্যক্তিগত কারণে বিরতি চাওয়ায় ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েন ইশান। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে ঘরোয়া ম্যাচ মিস করায় বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়।
অনিশ্চয়তা আর দীর্ঘ ঘরোয়া সিজনের মধ্যে ইশান হাল ছাড়েননি। প্রত্যাখ্যানের ভার নিয়ে কাজ করে গেছেন, স্পটলাইটের বাইরে মাসের পর মাস কাটিয়েছেন। এই দু'বছর তাকে গভীরভাবে বদলে দিয়েছে, বিশেষ করে মানসিকতা। এখন তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরেছেন।
এখন একই ডিসেম্বর মাসে ইশান টি২০আই দলে ফিরেছেন। আর চলমান বিজয় হাজারে ট্রফি ২০২৫-২৬-এ ভালো করলে ওডিআই কামব্যাকের দরজাও খুলে যেতে পারে।
