বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব অযৌক্তিক ও অগ্রহনযোগ্য : বাংলাদেশ ন্যাপ

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবকে অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক এবং অগ্রগণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চরমভাবে যখন ব্যর্থ তখনই দেশবাসী অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের শুনানিতে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অনিবার্যভাবে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি তৈরি করবে এবং তা বহুগুনিতক হারে সব পণ্যের দাম বাড়াবে।

শনিবার (২১ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব গণবিরোধী যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার চাইলে আরো কম দামে সাশ্রয় মূল্যে শতভাগ বিদ্যুত  জনগণকে দিতে পারে সে উদ্যোগ কিভাবে নেবে সেটি সরকারের বিবেচনা করা উচিত।

নেতৃদ্বয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির তৎপরতায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তখন দেখা যাচ্ছে সরকারি বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি তা পরিহার করে ভুল সিদ্ধান্ত গস্খহন করে দুর্নীতিগ্রস্থ এবং অলাভজনক প্রকল্প নিয়ে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে ব্যস্ত।

তারা আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ খাতকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। নিজেদের পোষ্য লোকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য বারবার মেয়াদ বাড়িয়ে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে। এই অব্যাহত লুটপাটের টাকা জোগান দিতেই উপর্যুপরি বিদূতের মুল্যবৃদ্ধি করছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার তুলনায় ভীষণ ব্যয়বহুল বিদ্যুত উৎপাদন সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সরকারের যে লক্ষ শতভাগ বিদ্যুৎ আয়ন তা থেকে বিমুখ হবে সাধারণ জনগণ। সেই সাথে শিল্প উৎপাদন এবং সাধারণ নাগরিকদের পরিবহন অটো রিক্সা এবং বিদ্যুতের রিক্সা এবং আগামীতে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন এর ব্যয় কোথায় গিয়ে দাঁডাবেব তা অনুমান করা সম্ভব না। মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির সাথে সাথে বিদ্যুতের অবাস্তব প্রস্তাব মেনে নেয়া মানে বাংলাদেশকে বিপথগামী করে সাধারণ মানুষদের মধ্যে যে ভয় ঢুকে গেছে যে শ্রীলংকার মত হতে বাংলাদেশ তা আরেক ধাপ বাস্তবায়ন করে দেয়ার জন্য বিদ্যুত-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মরন ফাঁদ হিসেবে কাজ করবে।

নেতারা বিদ্যুতে মুল্যবৃদ্ধির গুবিরোধী তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তেরর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

news