শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে বিআরটিসি বাস  আংশিক চালু 

শরীয়তপুর জেলায় আংশিক ভাবে বিআরটিসি বাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ২৬ জুন  শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে বাস সার্ভিস চালু করেছে বিআরটিসি। রোববার (২৬ জুন) সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকার ফুলবাড়িয়া বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে বিআরটিসির ৮টি বাস ছেড়ে শরীয়তপুরের প্রেমতলা ও বাস টার্মিনাল এলাকায় আসতে না আসতেই বন্ধ করে দেয় শরীয়তপুর জেলা সড়কপরিবহন মালিক গ্রুপ। 

এ সময় গাড়ির যাত্রীদের ও জোর করে নামিয়ে দেন তারা।শরীয়তপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের একটি সূত্রের দাবি, তাদের সঙ্গে সমন্বয় না করার কারণে বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাস মালিক গ্রুপ শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস নামে একটি বাস সার্ভিস চালু করেছে। তারা শরীয়তপুর থেকে ঢাকা ননএসি বাসে ভাড়া নিচ্ছে ২৫০ টাকা করে। 

বিআরটিসি এসি বাস জনপ্রতি ৩০০ টাকা নিয়েছিল।বাসের যাত্রীদের দাবি পরিবহন সিন্ডিকেট মুক্ত হোক শরীয়তপুর। বিআরটিসির বাস শরীয়তপুরের সব উপজেলায় চালু থাকুক। এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাস মালিক গ্রুপ ও আরটিএ যৌথ সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নড়িয়া, সদর, গোসাইরহাট সদর ও ভেদরগঞ্জ উজেলা সদর থেকে মাত্র ৬টি বিআরটিসি বাস চালু থাকবে। তারা শরীয়তপুর সদর থেকে কোন বাস যাত্রি উঠাতে পারবেনা।

 এ শর্ত সাপেক্ষে বিআরটিসি শরীয়তপুর জেলার ৩টি উপজেলায় আংশিক ভাবে বিআরটিসি বাস চালু করেছে। এবাস গুলো মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় চালু করেছেন। মালিক পক্ষের সাথে মিটিং করে  ১মাসের জন্য উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চালু করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কতৃপক্ষ। ১ মাস পর আবার মিটিং করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিবেন।এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর যাত্রি সাধারনের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রিরা যাতিসেবা পাওয়ার জন্য প্রতিটি উপজেলা বা জেলা সদরে বিআরটিসি বাস চালু করার দাবী জানান।

বিআরটিসি বাস পরিচালনাকারী গোসাইরহাটের বাবলু মৃধা বলেন, বিআরটিসি আমাদের অনুমতি দিয়েছে। বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা হয়নি বলে  শরীয়তপুর আসার পর বাস মালিক সমিতির লোকজন আমাদের বাস আটকে দেয় ও যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। মঙ্গলবার যৌথ সভাশেষে  আংশিক ভাবে ৩টি উপজেলায় ৬টি বাস চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 
এ ব্যাপারে কথা বলতেচাইলে  শরীয়তপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার ফোন কেটে দেয়।

পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভা হয়েছে জানি। সিদ্ধান্ত আমাদেরকে কেউ জানাননি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ছাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, মালিক পক্ষের সাথে মিটিং করে আমরা  ১মাসের জন্য উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চালু করার সিদ্ধান্ত দিয়েছি। ১ মাস পর আবার মিটিং করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিব।
 

news