আমরা শিশু মৃত্যু কমিয়েছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের স্বাস্থ্যখাতে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে দেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। স্বাস্থ্যের উন্নয়ন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নও হচ্ছে। টিকায় আমরা উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। আমরা শিশু মৃত্যু কমিয়েছি।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিএসএমএমইউ ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা)আয়োজিত সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট করেছি। আটটি বিভাগে আলাদা বার্ন ইউনিট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পাঁচটি বিভাগে কাজ শুরু হয়েছে। সব বিভাগে ক্যান্সার, হৃদরোগসহ আটটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি।

তিনি বলেন, আমরা সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি মন্তব্য করে বলেন, কালাজ্বর, কলেরা, ডায়রিয়া, সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এক সময় গ্রামের পর গ্রাম মানুষ মারা যেত। আমরা অনেক কাজ করেছি। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর হয়েছে।

গবেষণায় দেশ পিছিয়ে আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় গুরুত্বারোপ করেছেন। গবেষণার মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে উল্লেখ করে আরও বলেন, দেশে আগে বাইপাস সার্জারি হতো না, এখন অহরহ হচ্ছে। ট্রান্সপ্লান্ট হতো না, এখন হচ্ছে। আগে আমরা ওষুধ আমদানি করতাম, এখন রপ্তানি করি। টিকা তৈরির পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে গোপালগঞ্জে জায়গা নিয়েছি। সেখানেই সকল টিকা উৎপাদন করবো।

তিনি বলেন, আমরা চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আরও এগিয়ে যাক। অর্থসহ যতো সহযোগিতা দরকার, সব আমরা দেব।বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল রেডি হয়ে আছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে আমরা উদ্বোধন করব, প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এটি দেশের সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল হবে আশা করি। মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে রোগীরা যেন ভালো সুবিধা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোনো রোগীই যেন দেশের বাইরে না যায়। করোনায় কেউই বাইরে যেতে পারেনি। এতে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু অনুষদের ডীন ও ইপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক শাহীন আখতার। অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু।

news