পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানিয়েছেন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাক। তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ইউপিডিএফ-এর বৈঠকের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আজকের বুলেটিনে আমরা এই দাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবো।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাক বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এখানকার সংকট জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত। তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সাল থেকে পার্বত্যবাসী প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। তিনি দাবি করেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সমর্থনে কিছু গোষ্ঠী ‘স্বায়ত্তশাসন’-এর নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালাচ্ছে, যার লক্ষ্য ‘জুম্মল্যান্ড’ নামে পৃথক রাষ্ট্র গঠন।
ইঞ্জি. শাক উল্লেখ করেন, পাহাড়ে জেএসএস, ইউপিডিএফ, কেএনএফ-এর মতো সশস্ত্র সংগঠন চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ইউপিডিএফ-এর বৈঠকের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরোক্ষ স্বীকৃতি। তিনি প্রশ্ন তুলেন, যে সংগঠন সেনা ও সাধারণ মানুষের রক্তে হাত রাঙিয়েছে, তাদের সঙ্গে সরকারি কমিশন কীভাবে আলোচনায় বসে?
তিনি আরও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, জেএসএস নেতা সন্তু লারমা ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন, যা তার রাজনৈতিক স্বীকৃতির ইঙ্গিত দেয়। ইঞ্জি. শাক মনে করেন, এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “স্বায়ত্তশাসনের নামে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাংলাদেশের মাটিতে কখনো বাস্তবায়িত হবে না।”
ইঞ্জি. শাক পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন: প্রথমত, ১৫ মে ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে বৈঠক বাতিল করা। দ্বিতীয়ত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীদের অপসারণ। তৃতীয়ত, ইউপিডিএফ, জেএসএস, কেএনএফ-এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। চতুর্থত, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। এবং পঞ্চমত, সন্তু লারমার ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা বন্ধ করা।
ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাকের দাবি ও উদ্বেগ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচনা করেছে। এই দাবিগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হয়, তা নিয়ে স্থানীয় জনগণ ও রাজনৈতিক মহল উদগ্রীব।


