যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত কয়েক মাসে ১১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ ৮ জুন একটি বিশেষ ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশি প্রত্যাবাসিত হয়েছেন। পুলিশের বিশেষ শাখা ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।
প্রত্যাবাসিতদের মধ্যে ১১১ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী রয়েছেন। ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেছে এবং কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক আচরণ নিশ্চিত করার জন্য আলোচনা করা হয়েছিল বলে জানান একজন কর্মকর্তা।
সর্বশেষ ফ্লাইটে আসা ৪২ জনের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় নথিপত্র অসম্পূর্ণ থাকায় বিমানবন্দরে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পরই গ্রহণ করেন।
প্রত্যাবাসিত ইমরান হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, টেক্সাস থেকে তাদের ফ্লাইটে তোলা হয়। তিনি বলেন, "কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি এবং বিমানবন্দরে ব্র্যাকের কর্মীরা আমাদের সহায়তা করেছেন।"
ট্রাম্প প্রশাসন গত ফেব্রুয়ারি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন শুরু করে। ভারত ও ব্রাজিলের নাগরিকদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা হয়েছে। তবে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে ভিন্ন নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী দিনগুলোতে আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হতে পারে।


