জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ঘোষণা দিয়েছেন যে জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে জামায়াতে ইসলামী এবারও আলোচনায় অনুপস্থিত ছিল।
আলী রীয়াজ তার বক্তব্যে বলেন, "আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ প্রণয়ন করতে সক্ষম হব। রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ও সময় দেওয়ার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।" তিনি স্বীকার করেন যে সব বিষয়ে ঐকমত্য না হলেও জাতীয় স্বার্থে সমঝোতা সম্ভব।
এদিনের আলোচনায় সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচন পদ্ধতি, নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে আসে।
কমিশন আগামী ১৭, ১৮ ও ১৯ জুন তিন দিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে। আলী রীয়াজ জানান, "সব বিষয়ে চূড়ান্ত সমাধান নাও হতে পারে, কিন্তু আমরা জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"
এই প্রক্রিয়ায় সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে জামায়াতে ইসলামীর অনুপস্থিতিকে কিছুটা শূন্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।


