ভোলায় জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়ন ও তরুণদের অংশগ্রহণে এনডিসি ৩.০ বাস্তবায়ন বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ভোলা সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে জেলা তথ্য অফিস ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থানীয় সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
জেলা তথ্য অফিসার শাহ আব্দুর রহিম নুরন্নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া ও ইউনিসেফের বরিশাল বিভাগীয় প্রধান আনোয়ার হোসেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। চরম আবহাওয়া, নদীভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ ১৪টি জলবায়ু ঝুঁকি চিহ্নিত হয়েছে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায়।
তরুণ প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সমাধান নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এনডিসি ৩.০, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন, প্যারিস চুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বক্তারা বৈশ্বিক নেতৃত্বের কাছে কার্বন নিঃসরণ কমানো, বনায়ন বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুসহিষ্ণু কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় বরাদ্দ বৃদ্ধিরও দাবি উঠে আলোচনায়।
ইউনিসেফের পুষ্টি কর্মকর্তা রমা শাহা ও সুশীলনের উপপরিচালক শিরীনা আক্তার তরুণদের নিয়ে জলবায়ু কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। এতে ২৫ জন কিশোর-কিশোরী ও তরুণ প্রতিনিধি অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শিশু ও তরুণদের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয়ভাবে অভিযোজন কৌশল উন্নয়নে তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
