জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশে। বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক ইমামতি করেন এই জানাজায়। ভাইয়ের কণ্ঠে তাকবির আর কাঁধে ভাইয়ের কফিন—এই দৃশ্য যেন পুরো জাতিকে নীরব করে দেয়।

শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয় শহীদ হাদির নামাজে জানাজা। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে পরিণত হয় পুরো এলাকা জনসমুদ্রে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে শহীদ হাদির আত্মত্যাগকে স্মরণ করেন গভীর শ্রদ্ধা আর অশ্রুসজল চোখে।

জানাজায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। তাদের উপস্থিতি জানিয়ে দেয়, শহীদ হাদি কেবল একটি দলের নন, তিনি পুরো জাতির সাহসী কণ্ঠস্বর ছিলেন। তার মৃত্যু জাতীয় জীবনে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে সময় পরিবর্তনের ঘোষণা এলেও পরে চূড়ান্তভাবে দুপুর আড়াইটায় জানাজা শুরু হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে ব্যাগ ও ভারী জিনিস না আনার অনুরোধ জানানো হয়।

একই সঙ্গে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও মানুষের আবেগ থামানো যায়নি। শহীদ হাদির জানাজা শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি পরিণত হয় জাতির সম্মিলিত শোক ও প্রতিবাদের নীরব প্রকাশে।
 

news