সতেরো বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই প্রত্যাবর্তন শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি আবেগ, স্মৃতি আর প্রত্যাশার এক অনন্য মুহূর্ত। রাজনীতির বাইরেও এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে সংস্কৃতির অঙ্গনে। সেই আবেগ থেকেই প্রকাশ পেয়েছে নতুন গান ‘নেতা আসছে’, যা ইতোমধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

‘নেতা আসছে’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ও সালমান রাজ। তাঁদের কণ্ঠে উঠে এসেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার ভাষা, মানুষের আশা আর বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। গানটি যেন শুধুই সংগীত নয়, বরং একটি রাজনৈতিক অনুভূতির প্রকাশ, যেখানে নেতা ও দেশের মানুষের সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে আবেগঘনভাবে।

গানের কথায় বলা হয়েছে—নেতা আসছে, মা-মাটি মানুষের কাছে, বাংলাদেশ যেন আবার হাসছে। এই পঙক্তিগুলো সাধারণ মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষা আর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে উঠেছে। গানের প্রতিটি শব্দে রয়েছে প্রত্যাবর্তনের আনন্দ, নতুন দিনের স্বপ্ন এবং নেতৃত্ব ঘিরে আশাবাদের বার্তা, যা শ্রোতাদের গভীরভাবে নাড়া দিচ্ছে।

‘নেতা আসছে’ গানটির কথা লিখেছেন মিজানুর রহমান। পলক হাসান সুমনের সুরে সংগীতায়োজন করেছেন এ এন ফরহাদ। গানের পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চিত্রনায়ক হেলাল খান। অভিজ্ঞ শিল্পীদের সম্মিলিত প্রয়াসে গানটি রাজনৈতিক গান হিসেবেও পেয়েছে আলাদা মাত্রা ও গ্রহণযোগ্যতা।

গানটি প্রকাশ করা হয়েছে বিএনপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। প্রকাশের পরপরই দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ মন্তব্য করে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে গানটির সুর, কথা ও আবেগের প্রশংসায় ভরে উঠেছে মন্তব্যের ঘর।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের পাশাপাশি এই গান প্রমাণ করছে, রাজনীতির প্রভাব সংস্কৃতিতেও গভীরভাবে কাজ করে। ‘নেতা আসছে’ শুধু একটি গান নয়, এটি একটি সময়ের দলিল। নেতৃত্ব, প্রত্যাবর্তন ও মানুষের অনুভূতিকে একসূত্রে গেঁথে এই গান নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

news