ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহী নন ক্রেতারা, টিসিবি ডিলাররা বিপাকে

ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খোলাবাজারে বিক্রি করছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও আশানুরূপ ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। 

টিসিবির ডিলাররা বলছেন, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে ভারতের পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে টিসিবি। যে কারণে ক্রেতাদের চাহিদা কম।

রাজধানীর মালিবাগ, তেজগাঁও এব বাড্ডা এলাকায় টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের সামনে দেখা গেছে, ডেকে ডেকে এ পেঁয়াজ বিক্রির চেষ্টা করছেন ডিলাররা। হাঁকডাকে দু-একজন ক্রেতা এলেও দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন বেশিরভাগ ক্রেতা।

মধ্য বাড্ডা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে টিসিবির পরিবেশক দুলাল হোসেনের গাড়িতে নিযুক্ত আরিফ হোসেন বলেন, ক্রেতারা বলছেন; একই দাম ভারতের পেঁয়াজ নেবো কেন। সকাল দশটা থেকে এ দুপুর ২টা পর্যন্ত ১০০ কেজি পেঁয়াজও বিক্রি হয়নি। যেখানে বরাদ্দ এক টন (এক হাজার কেজি)। 

সেগুনবাগিচায় ডিলারের প্রতিনিধি এনামুল বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে আমরা লোকসানে পড়ে গেছি। বরাদ্দের পেঁয়াজ শেষ না হলে টিসিবি থেকে অন্য পণ্য দেওয়া হচ্ছে না।

পেঁয়াজ কিনতে আসা রোকেয়া খাতুন বলেন, আগেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভিড় ঠেলে মাত্র এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারতাম না। এখন চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ কিনতে পারছি বাজারে। বাজারে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দামও কম, মানও ভালো। তাহলে এখান থেকে নেবো কেন?

গত রোববার প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছায় প্রায় ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ। এরপর মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে আমদানি করা এ পেঁয়াজের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। উদ্বোধনের পর থেকে ঢাকা মহানগরের ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন খোলাবাজারে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

news