দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন প্লাজা আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি তারা সারা দেশে কিস্তি সুরক্ষা কার্ডধারী ৮ শতাধিক পরিবারকে ২ কোটি টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। শুধু তাই নয়, যারা দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের বকেয়া কিস্তির টাকা পর্যন্ত মওকুফ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মওকুফকৃত কিস্তির পরিমাণও প্রায় ২ কোটি টাকা

ওয়ালটনের এই উদ্যোগ এসেছে তাদের ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’ থেকে। সহজভাবে বললে, কিস্তিতে ওয়ালটনের যেকোনো পণ্য কিনলে ক্রেতা পান একটি সুরক্ষা কার্ড। ক্রেতার মৃত্যু হলে পরিবার পায় ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা। এমনকি পরিবারের অন্য সদস্য মারা গেলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। আর বকেয়া কিস্তির টাকা? সেগুলোও বাতিল করে দিচ্ছে ওয়ালটন।

ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু ব্যবসা নয়। ক্রেতারা আছেন বলেই আজ ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড। তাই তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য।”

এই সুরক্ষানীতির আওতায়, কোনো কার্ডধারীর মৃত্যু হলে তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে দাফনের জন্য নগদ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা এবং বকেয়া কিস্তি মওকুফের সুবিধা। এখন পর্যন্ত ৮০০টিরও বেশি পরিবার সরাসরি সহায়তা পেয়েছে, আর বেশ কিছু পরিবার এখনও প্রক্রিয়াধীন।

শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, প্রয়াত কার্ডধারীর পরিবারের যোগ্য সদস্যের জন্য ওয়ালটনে চাকরির সুযোগও তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটনই এমন উদ্যোগ নিয়েছে, যা একই সঙ্গে গ্রাহক পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং ব্র্যান্ডের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করছে।

এছাড়াও, ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি সুরক্ষা কার্ডে রয়েছে নানা সুবিধা—দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রেস্তোরাঁ, এমনকি জীবন বীমাতেও বিশেষ ছাড়। ফলে গ্রাহকরা জীবদ্দশায়ও পাচ্ছেন বাড়তি সুরক্ষা আর সুবিধা। ওয়ালটন জানিয়েছে, এসব সুবিধার পরিধি ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে।

news