বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ও সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন লিফট প্রোডাক্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন প্রজন্মের আইকন ও জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান। রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন লিফটের চিফ বিজনেস অফিসার জেনান-উল ইসলামসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি জানান, ওয়ালটন শুধু ইলেকট্রনিক্স নয়, দেশে প্রথমবারের মতো উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন লিফট উৎপাদন শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি বহু স্থাপনায় এসব লিফট স্থাপন করা হয়েছে এবং সেগুলো সাফল্যের সঙ্গে চলছে।
তিনি আরও জানান, ওয়ালটন লিফট ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্টে কয়েকশত কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্সে রয়েছে অত্যাধুনিক টেস্ট টাওয়ার, যেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৪ মিটার গতির লিফট পরীক্ষা করা যায়। বছরে এক হাজারেরও বেশি লিফট উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে ওয়ালটন। ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডে তৈরি এসব লিফট সাশ্রয়ী মূল্যে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।
নতুন ভূমিকা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাহসান খান বলেন, “ওয়ালটন শুধু নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে না, বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই পরিবারের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।”
জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে শুরু করে গত ১০ বছর ধরে ওয়ালটনের সঙ্গে আমার পথচলা। বাংলাদেশে বিশ্বমানের লিফট তৈরি করছে ওয়ালটন—এটা শুধু একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেই নয়, একজন বাংলাদেশি হিসেবেও আমার কাছে বিশাল গর্বের বিষয়। তাহসান ভাইয়ের যোগদান ওয়ালটন লিফটকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের লিফট। উন্নত মোটর, আধুনিক প্রযুক্তি ও সেরা মানের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি এই লিফট ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্যাসেঞ্জার লিফট, কার্গো লিফট, হাইড্রোলিক কার লিফট, হোম লিফট, হাসপাতাল লিফট ও ক্যাপসুল লিফট। এসব লিফট ব্যবহার হচ্ছে বাসাবাড়ি, বিপণিবিতান, হাসপাতাল ও শিল্প কারখানায়।


