বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন প্রায়ই স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। সম্প্রতি ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শোতে তিনি শেয়ার করেছেন কীভাবে তার জীবন বিপদের মুখে পড়েছিল।

১৯৮৩ সালে ‘কুলি’ সিনেমার সেটে শুটিং চলাকালীন অমিতাভ মারাত্মকভাবে আহত হন। সেই সময় তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করা হয়েছিল। নবাগত পুনিত ইসরোর দেওয়া ঘুষি ঠিকমতো নেমে না যাওয়ায় এতটাই আঘাত পেয়ে অমিতাভ কোমায় চলে যান। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি ফিরে আসেন, কিন্তু হাসপাতালেই হেপাটাইটিস বি সংক্রমণ হয়।

‘কেসিবি’ শোতে তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরে তার প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়েছিল। প্রায় ২০০ জন রক্ত দিয়েছিলেন এবং ৬০টি রক্তের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যাগগুলোর মধ্যে একজনের রক্তে ছিল হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, যা তখন সনাক্ত করা যায়নি। অমিতাভ বলেন, “এটি ১৯৮২ সালে ঘটেছিল, আর ২০০৫ সালে একটি সাধারণ চেকআপের সময় ধরা পড়ে। তখন জানতে পারি আমার লিভারের ৭৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। আমি ২৫ শতাংশ লিভার নিয়ে বেঁচে আছি। সময়মতো নির্ণয় না হলে এই রোগ খুবই বিপজ্জনক হতে পারে।”

অমিতাভ ২০০০ সালে যক্ষ্মারও কবলে পড়েন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, “২০০০ সালে আমার মেরুদণ্ডের টিবি ধরা পড়ে। প্রায় এক বছর কঠোর চিকিৎসার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। শো উপস্থাপনার সময় দিনে ৮-১০ টা ব্যথানাশক ওষুধ খেতাম।”

চিকিৎসা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিতেও অমিতাভ এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “যখন আমি বলি যে আমি টিবি থেকে বেঁচে আছি, এটি অনেককে প্রেরণা দেয়।”

বর্তমানে অমিতাভ ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র ১৭তম সিজন উপস্থাপনা করছেন। এছাড়া তাকে শেষবার দেখা গেছে টিজে জ্ঞানভেলের ‘ভেট্টাইয়ান’ সিনেমায়, যেখানে রজনীকান্ত, ফাহাদ ফাসিল, রানা দাগ্গুবাতি ও মঞ্জু ওয়ারিয়রের সঙ্গে অভিনয় করেছেন।

 

news