ভারতীয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা মালতি চাহার সম্প্রতি বিনোদন জগতের অন্ধকার দিক নিয়ে মুখ খুলেছেন। বিগ বস ১৯-এর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর এবার তিনি কাস্টিং কাউচ ও হেনস্তার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে শিরোনামে এসেছেন। সিদ্ধার্থ কান্নানের পডকাস্টে মালতি জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতের এক বড় প্রযোজক এবং বলিউডের একজন প্রবীণ পরিচালক তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন ও হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন।

মালতি বলেন, “একটি প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর একজন প্রবীণ পরিচালক আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেন যা আমি কখনো ভাবিনি। আমি তাকে বাবার মতো শ্রদ্ধা করতাম। একদিন বিদায় নেয়ার সময় আলিঙ্গন করতে গেলে তিনি জোরপূর্বক আমার ঠোঁটে চুম্বন করার চেষ্টা করেন। আমি ভীষণ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।”

তিনি তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করেন এবং সেই পরিচালকের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। মালতি স্মরণ করেন, তার ক্যারিয়ারের শুরুতে দক্ষিণ ভারতের এক নামি প্রযোজকের ছবির জন্য অডিশন দিতে গিয়েছিলেন। অডিশন ও চিত্রনাট্য শুনার পর তাকে হোটেলের ঘরে দেখা করতে বলা হয়। মালতি সেখানে না যাওয়ায় পরিচালক ফোনে ইঙ্গিত দেন, যেন ‘কাজের ধরন’ বোঝে।

মালতি সরাসরি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং কাজ হারানোর ভয় পাননি। তিনি মনে করেন, নিজের ব্যক্তিত্ব ও শরীরী ভাষা দিয়ে অনেক অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।

ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক চাহারের বোন মালতি বলেন, “পুরুষরা ক্ষমতা বা পদের অপব্যবহার করে নারীদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করবে। তবে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকলে তাদের কাছে নতিস্বীকার করতে হবে না। অনেক ক্ষেত্রে কাজ হারানো যেতে পারে, কিন্তু আত্মসম্মান কখনো বিসর্জন দেওয়া উচিত নয়।”

মালতি আরও যোগ করেন, তার বাবার সমর্থন ও শক্তির কারণে তিনি এই প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পেরেছেন। নতুনদের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দিয়েছেন, যেন কেউ কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে উচ্চ আসনে বসায়।

 

news