নির্দেশ অমান্য করা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদ! 'লক্ষ্মণরেখা' মনে করালেন প্রধান বিচারপতি

 বিচার ব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই এই বিষয়েই কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি যদিও বর্তমান সরকার বিচার ব্যবস্থায় নাক গলাচ্ছে এমন কোনও অভিযোগ করেননি। তবে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই আদালতের চূড়ান্ত নির্দেশ থাকার পরেও সরকার জেনেবুঝে তা অগ্রাহ্য করে। যা মোটেই গণতন্ত্রের পক্ষে ঠিক নয় বলে দাবি প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা'র। 
শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, সংবিধান গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় শাসন, আইন এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরণ করে দিয়েছে সংবিধানই। ফলে সবপক্ষকেই তাঁর কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে 'লক্ষ্মণ রেখা'র কথা মাথায় রাখা উচিত বলেই মত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি'র। আজ শনিবার দিল্লির বিজ্ঞানভবনে আইনমন্ত্রকের তরফে বিশেষ একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
 যেখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ একাধিক রাজ্যের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরাও উপস্থিত ছিলেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই এই সম্মেলনের সূচনা হয়।

 অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, গোটা দেশে এই মুহূর্তে চার কোটিরও বেশি মামলা প্যান্ডিং রয়েছে। প্যান্ডিং কেসগুলির মধ্যে বেশিরভাগই সরকারে বড় পক্ষ রয়েছে। ৫০ শতাংশ প্যান্ডিং কেসে সরকারই পার্টি বলে দাবি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি'র। শুধু তাই নয়, আদালতের সিদ্ধান্তকে আমল না দেওয়াটা যথেষ্ট চিন্তা এবং উদ্বেগের বলে মন্তব্য তাঁর। 
শুধু তাই সরকারের মানসিকতার কারনেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তকে আমল দেওয়া হয় না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। 

গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি মোটেই ঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জজ না থাকার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা। বলেন, ভারতে ১০ লাখ লোকের জন্যে বিচারপতি মাত্র ২০ জন। আর এক্ষেত্রে নিয়োগ এবং প্যান্ডিং কেসের দ্রুত শুনানি করতে সরকারের এই বিষয়ে নজরদারি আহ্বান প্রধান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
 অন্যদিকে, আইনের ভাষা আরও সহজ করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশেষ করে স্থানীয় মাতৃভাষায় যাতে করা যায় তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা চলছে বলে জানানো হয়েছে। আইনের ভাষা যাতে সবাই বুঝতে পারে সেজন্যেই ভাবনা বলেও প্রধান বিচারপতির সামনেই জানালেন নরেন্দ্র মোদী।খবর ওয়ান ইন্ডিয়ার /এনবিএস/২০২২/একে

news