এমপিওভুক্ত স্কুলের যারা ক্লাস নেওয়ার বদলে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাদের এখন জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি টাকায় বেতন পাওয়া শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে。
সোমবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা এই সতর্কবার্তা দেন。 তিনি বলেন, "অনেক শিক্ষক আছেন, যারা ক্লাস না নিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। যেহেতু সরকার এমপিওর আওতায় তাদের বেতন দিচ্ছে, তাই তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতেই হবে。"
কীভাবে বাস্তবায়ন হবে এই পদক্ষেপ?
শিক্ষা উপদেষ্টার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আইনে ইতিমধ্যেই দের জন্য বাধ্যবাধকতার ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু সরকার সেগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়ন করেনি। এবার সেসব আইনী কাঠামোর ভিতর থেকেইদের পরিসরে দায়বদ্ধ করা হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোরঘাটতি এবার স্কুল পর্যায় থেকেই পূরণ করার চেষ্টা করা হবে。
খারাপ ফলাফলের প্রতিষ্ঠানদেরও হবে জবাবদিহি
শুধু নয়, খারাপ ফলাফল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারেও কঠোর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, যেসব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাসের হার শূন্য বা ১০ শতাংশের নিচে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফল খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি, যেসব প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল করছে, তাদের প্রধানদেরও ডেকে প্রশংসা করা হবে।
নন-পারফর্মিং প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথাও ভাবছে সরকার
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই না করেই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, যারা নানা সমস্যায় ভুগছে। তাই যেসব প্রতিষ্ঠান ভালো করছে না, সেগুলোকে বন্ধ করা যায় কিনা বা অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে合并 করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এমনকি, যেসব প্রতিষ্ঠানে ১০০-১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পরীক্ষায় মাত্র ১০-১২ জন অংশ নেয়, অথচ সেখানে ১৫-২০ জন教师কে বেতন দিতে হয়—সরকার এমন অপচয় বন্ধ করতেও সচেষ্ট হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনা গেলে ফলাফল উন্নয়ন সম্ভব—এমন উদাহরণ ইতিমধ্যেই পেয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন。
