হংকংয়ের নির্বাচন নিয়ে জি-৭ দেশগুলোর উদ্বেগ হস্তক্ষেপের শামিল: চীন

 হংকংয়ের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিল্পোন্নত সাত জাতিগোষ্ঠী জি-৭ যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে বেইজিং। 

 সম্প্রতি জি-৭ বৈঠক থেকে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বৈঠকে হংকংয়ের জনগণের মৌলিক অধিকার ভোগ করার স্বাধীনতা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, কানাডা, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে জি-৭ গঠিত।

 চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বুধবার বেইজিং-এ এ সংবাদ সম্মেলনে জি-৭ বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘কিছু বিদ্বেষপরায়ণ পশ্চিমা দেশ ও সংস্থা হংকংয়ের চিফ এক্সিকিউটিভ নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে যাকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ঔদ্ধত্বপূর্ণ হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য করছে বেইজিং।’

‘যেসব দেশ অপরকে গণতন্ত্র শেখাতে চায়’ তাদের উদ্দেশ করে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এসব দেশ ও সংস্থা চীনকে কিছুতে শেখাতে না এসে এদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলেই যথেষ্ট হবে’।

হংকংয়ে গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জন লি ৯৯ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে সেখানকার প্রধান নির্বাহী পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ১ জুলাই তিনি হংকংয়ের বর্তমান নেতা ক্রে লামের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

হংকংকে এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ও বাণিজ্যিক বাজার হিসেবে গণ্য করা হয়।১৮৪২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত হংকং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের জবরদখলে ছিল। ১৯৯৭ সালে এটিকে এর প্রকৃত মালিক চীনের কাছে হস্তান্তর করে ব্রিটেন।

news