হাজার হাজার ইমরান সমর্থকের হুঙ্কারে কাঁপল ইসলামাবাদ, পাকিস্তান জুড়ে তুমুল অশান্তির আশঙ্কা

 ইমরান খানের হাজার হাজার সমর্থকের হুঙ্কারে কাঁপল ইসলামাবাদ। পাকিস্তান জুড়ে তুমুল অশান্তির আশঙ্কায় বাড়িয়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিতাড়িত পাক প্রধানমন্ত্রীর সমর্থকরা।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার বিক্ষোভ মিছিলের সূচনা করেন ইমরান। তারপরই নির্বাচনের দাবিতে ইসলামাবাদের পথে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ইমরান খানের সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানীতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দফায় দফায় নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (PTI) সমর্থকরা। মেট্রো স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। শাহবাজ শরিফ সরকারকে আগেই ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে দ্রুত নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলে ইসলামাবাদ থেকে তাঁর সমর্থকরা নড়বেন না।

এদিকে, ইমরানের এই বিক্ষোভ মিছিলে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। ‘ডন’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত ‘ইমরান খানস মার্চ টু ক্যাওস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে পাক সাংবাদিক জাহিদ হুসেন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশকে অত্যন্ত ঘোরাল রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন যে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সরকার রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, মসনদে বসেই ইমরান খান (Imran Khan) মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘বদলা’ নেওয়া শুরু করেছেন শাহবাজ শরিফ বলে অভিযোগ। নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ইমরান মন্ত্রিসভার সদস্যদের ‘নো ফ্লাই লিস্টে’ পাঠিয়ে দেন শাহবাজ। যার ফলে ইমরান খানের মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাকিস্তান ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ইমরান খান এবং তাঁর দলের নেতারা আদ্যোপান্ত দুর্নীতিতে যুক্ত। সুযোগ পেলেই দুর্নীতির টাকা নিয়ে বিদেশে পালাতে পারে তাঁরা।

এদিকে, এদিকে ইমরান খান এখনও পাকিস্তানের গদি হারানোর বেদনা ভুলতে পারছেন না। নিজের গদি হারানোর জন্য বিদেশি শক্তি ও পরোক্ষে সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন তিনি। নাম না করে পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে টার্গেট করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে, বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। গত এপ্রিলে ক্ষমতা হারানোর পর করাচির সভায় তিনি খোলাখুলি ভাবে আমেরিকার (USA) দিকে আঙুল তুলেছেন। পাকিস্তানের মার্কিন দূতাবাসে বসেই তাঁকে সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইমরানসংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে

news