সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চান বাইডেন

২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগজির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়। বাইডেন প্রশাসনের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে খাশোগজির হত্যার পরিকল্পনার জন্য সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে ফিরে এসেছে বাইডেন প্রশাসন। 

১৯৮১ সালের পর থেকে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জন্য ভীষণ চাপের মধ্যে রয়েছেন জো বাইডেন। সেইসঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে দমাতে এবং অভ্যন্তরীণ গ্যাসের দাম কমানোর জন্যও প্রচণ্ড চাপ আসছে সরকারের ওপর। গত ৪০ বছরের মধ্যে মার্কিন মুল্লুকে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হারের পাশাপাশি শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। এ পরিস্থিতিতে খাশোগজি হত্যায় সৌদি আরবের সঙ্গে আপোসের পথেই আগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, উভয় পক্ষই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের স্বার্থে আমাদের সম্পর্ককে পুনঃস্থাপন করতে হবে।

যদিও সৌদিরা তাদের পক্ষ থেকে খাশোগি মামলাটির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে বলেই মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সেকথা তারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, খাশোগজির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সরাসরি সৌদির প্রিন্সের সামনে উত্থাপন করার পরিকল্পনা করছেন বাইডেন। কারণ পরের মাসেই উভয়ের সাক্ষাতের পরিকল্পনা আছে। মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরে কিছু কর্মকর্তা এখনও বিশ্বাস করেন যে খাশোগজির হত্যাকাণ্ড- এর মতো এই  জঘন্য অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার জন্য সৌদি প্রিন্সকে জবাবদিহি করতে আরও কিছু করা উচিত। এদিকে  বাইডেনের দুই শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, ব্রেট ম্যাকগার্ক এবং আমোস হোচস্টেইন -এর নিরন্তর প্রচেষ্টায় প্রিন্সসহ সৌদি কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা বৈঠকের পর এখন দু দেশের সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত মিলছে। 

তবে খাশোগজির বাগদত্তা হ্যাটিস সেঙ্গিজ বাইডেনকে তার নৈতিকতা হারানোর দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি সিএনএন-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এমবিএসের (মোহাম্মদ বিন সালমান) সঙ্গে বাইডেনের  দেখা করার বিষয়টি আমার এবং ন্যায়বিচারের সমর্থকদের অসন্তুষ্ট করেছে।’ মার্কিন প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ ওয়াশিংটনের একজন মানবাধিকার রক্ষক, যিনি খাশোগজির ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন তিনি  সিএনএনকে বলেছেন যে ‘খাশোগজি হত্যার জন্য এমবিএসকে দায়বদ্ধ না করার সিদ্ধান্ত রাজকুমারের বিরোধী এবং আরবের ভিন্নমতাবলম্বীদের বড় ধাক্কা দেবে।

news