আইনের গেরো, গর্ভপাতের জন্য সীমান্ত পেরতে হল ধর্ষণের শিকার ১০ বছরের নাবালিকাকে

আইনের গেরোয় বিপাকে পড়ল ১০ বছর বয়সি এক নাবালিকা। ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল সে। কিন্তু গর্ভপাত করাতে সীমান্ত পেরিয়ে অন্য প্রদেশে যেতে হল ওই মার্কিন (USA) বালিকাকে। ফলে নতুন করে ফের বিতর্কের শুরু হল গর্ভপাত বিরোধী আইন নিয়ে।

জানা গিয়েছে ওহাইয়ো শহরের ওই নাবালিকা ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গর্ভাবস্থার ছয়মাস কেটে যাওয়ার পরে গর্ভপাত (USA Abortion) করানোর অনুমতি নেই ওহাইয়োতে। তাই বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়ানা প্রদেশে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হয় ওই নাবালিকাকে। তার চিকিৎসক কেটলিন বার্নার্ড জানিয়েছেন, ওহাইয়ো থেকে তাঁর এক সহকর্মী ফোনে ওই নাবালিকার বিষয়টি জানান।

কেটলিন জানিয়েছেন, “ভাবতেই খুব কষ্ট হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহ পরে আমরা আর নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াতে পারব না।” আমেরিকার বেশ কয়েকটি প্রদেশে সাময়িকভাবে গর্ভপাত বিরোধী আইনের প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে খুব বেশিদিন এইভাবে আটকে রাখা যাবে না বলেই অনুমান। ইতিমধ্যেই লাফিয়ে বেড়েছে অন্য প্রদেশে গিয়ে গর্ভপাত করানোর সংখ্যা।

১০ বছর বয়সি এই নাবালিকার ঘটনা প্রভাব ফেলেছে রাজনীতিতেও। নারীদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে আগেই সরব হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট রাজনীতিকরা। দক্ষিণপন্থী দল রিপাবলিকানের এক সাংসদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নাবালিকার এই ঘটনা জানার পরে কি গর্ভপাত আইন বদলানোর কথা ভাববেন তাঁরা? কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ক্রিস্টি নোয়েম নামে ওই সাংসদ।

গর্ভপাত নিয়ে ২৪ জুন প্রায় পাঁচ দশক পুরনো গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন বাতিল করে দেয় আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। আদালত সাফ জানায়, আমেরিকায় গর্ভপাত সাংবিধানিক অধিকার নয়। ফলে মার্কিন মুলুকে প্রায় লক্ষ লক্ষ মহিলা ‘রাইট টু অ্যাবর্ট’ বা গর্ভপাতের আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারপরই প্রতিবাদীদের ভিড় বাড়তে থাকে শীর্ষ আদালতের সামনে। শুধু আদালত চত্বর নয়, বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের নানা প্রান্তেও। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নারী স্বাধীনতার বিরোধী বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে

news