ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়ল যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার রাতের আঁধারে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই হামলা ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জানানো হয়, ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে বি-২ বোমারু বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। একই সময় সাবমেরিন থেকে নাতাঞ্জ ও ইস্ফাহানের দিকে ছোড়া হয় একাধিক টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে “প্রতিরক্ষামূলক ও পূর্বপ্রস্তুত চুক্তিভিত্তিক পদক্ষেপ”, তবে ইরান একে সরাসরি আগ্রাসন হিসেবে দেখছে।

নেতানিয়াহু তার ভিডিও বার্তায় বলেন, "এটি শুধু একটি হামলা নয়, বরং শান্তির পথে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ। শক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব, এবং আজ রাতে আমরা সেই শক্তির প্রদর্শন দেখেছি।"

তিনি পরে এক্স (সাবেক টুইটার) এ লিখেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি বরাবরই বলি, ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’। এই হামলা সেই দর্শনেরই বাস্তবায়ন।"

হামলার পর নিজের বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, "ইরান হলো মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু, যারা এখনো 'আমেরিকার মৃত্যু চাই' বলে শ্লোগান তোলে। তাদের পরমাণু উচ্চাকাঙ্ক্ষা থামানো জরুরি ছিল।"

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে এবং ইরান হয়তো পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। তবে নেতানিয়াহু এটিকে এক ঐতিহাসিক বাঁক বলে দেখছেন, যেখানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ‘অভিযোগের জবাব’ দিচ্ছে।

news