জাপানে ৬৩ বছর বয়সি আজারাশি নামের এক নারীর অপ্রত্যাশিত প্রেম ও বিয়ের গল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তিনি বিয়ে করেছেন মাত্র ৩১ বছর বয়সি এক তরুণকে, যিনি তার একমাত্র ছেলের চেয়ে ৬ বছরের ছোট।

আজারাশি ২০২০ সালে টোকিওর একটি ক্যাফেতে ওই তরুণের সঙ্গে প্রথমবারের মতো পরিচিত হন। এক সপ্তাহ পর আবার তাদের দেখা হয়, এবং সেই সময় থেকে শুরু হয় আলাপ-আলোচনা, পরে ফোন নম্বর বিনিময় হয়।

আজারাশি এর আগে দুই দশক সংসার করার পর ৪৮ বছর বয়সে তালাকপ্রাপ্ত হন। এরপর একাই ছেলেকে বড় করেন এবং পোষা কুকুর দেখাশোনা ও পেট ক্লথিং ব্যবসায় সময় কাটান। যদিও ডেটিং অ্যাপসে কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তিনি অবিবাহিত থাকতেই পছন্দ করতেন।

তরুণটির সঙ্গে পরিচয়ের পর প্রতিদিন এক ঘণ্টারও বেশি সময় ফোনে কথা হতো তাদের। আজারাশি বলেন, “আমি যা-ই বলি না কেন, সে মন দিয়ে শোনে এবং বুঝতে পারে। সে সত্যিই খুব ভালো শ্রোতা। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি।”

এক মাসের প্রেমের পরেই তারা জানতে পারেন একে অপরের আসল বয়স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আজারাশির ছেলে মায়ের নতুন সম্পর্কের প্রতি সমর্থন দেখান। তবে তরুণটির মা প্রথমে আপত্তি করেন, কারণ তিনি নিজে আজারাশির থেকে ছোট। পরে ছেলের জোরাজুরিতে রাজি হন।

২০২২ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন। এখন দু’জন মিলে একটি ম্যারেজ এজেন্সি পরিচালনা করছেন এবং সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন।

এই অপ্রত্যাশিত প্রেম ও বিয়ের গল্প নিয়ে অনলাইনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ তাদের সম্পর্ককে সত্যিকারের ভালোবাসার উদাহরণ হিসেবে প্রশংসা করছেন, আবার কেউ বয়সের পার্থক্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।

জাপানে এটি প্রথম ঘটনা নয়। সম্প্রতি জানা গেছে, ২৩ বছরের এক যুবক প্রেমে পড়েছেন তার সহপাঠীর ৮৩ বছর বয়সি দাদির সঙ্গে। প্রায় ৬০ বছরের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তারা একসঙ্গে বসবাস করছেন। যুবক প্রথম দেখাতেই দাদির প্রতি আকৃষ্ট হন এবং পরবর্তীতে ডিজনিল্যান্ডে ভ্রমণের সময় তাদের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়, যা তাদের সম্পর্কের বাঁধন গড়ে তোলে।

 

news