যুক্তরাষ্ট্রের টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এখন চীনের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এটি লকহিড মার্টিন দ্বারা তৈরি একটি মোবাইল এবং নমনীয় প্ল্যাটফর্ম, যা স্থল ও সমুদ্র উভয় পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে মার্কিন সেনাবাহিনী মাঝারি-দূরত্বের উচ্চ-নির্ভুল আঘাত নিশ্চিত করতে পারে।

টাইফুন সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য:

মডুলার নকশা: এসএম-৬ এবং টোমাহকসহ বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সক্ষমতা।

পাল্লা: SM-6 – ২৪০ থেকে ৩২৯ কিমি, Tomahawk – ৫০০ থেকে ১,৫০০ কিমি।

প্রাথমিক লক্ষ্য: বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক, কমান্ড সেন্টার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।

ব্যবহার: স্থল ও জাহাজ-বিরোধী অভিযান উভয়ের জন্য।

টাইফুন ব্যবস্থাকে বিশ্বের অন্যতম উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে দেখা হয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন ও টোকিওকে এই সিস্টেম জাপানের ঘাঁটি থেকে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে।

চীনের উদ্বেগের কারণগুলো:
১. নির্ভুলতা ও দীর্ঘ পাল্লা: টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র দীর্ঘ দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম, তাইওয়ানসহ চীনের নৌ ও স্থল ইউনিটগুলোর জন্য হুমকি।
২. পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন: প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
৩. উচ্চ গতি ও চালচলন: ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা পদ্ধতি অতিক্রম করতে সক্ষম।
৪. সামরিক ভারসাম্যে প্রভাব: যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতিত্বে আঞ্চলিক সামরিক ভারসাম্য পরিবর্তন।
৫. এশিয়ায় অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি: মোতায়েনের ফলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের জন্য ঝুঁকি।

১১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া বার্ষিক যুক্তরাষ্ট্র-জাপান "ডিটারমাইনড ড্রাগন" মহড়ায় প্রথমবার টাইফুন ব্যবস্থার ব্যবহার হবে। দুই সপ্তাহের মহড়া চলাকালীন এটি মধ্যম-দূরত্বের হুমকি মোকাবেলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে।

সারসংক্ষেপ: টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তার উচ্চ নির্ভুলতা, দীর্ঘ পাল্লা, পারমাণবিক সক্ষমতা ও দ্রুত গতির কারণে চীন এবং অন্যান্য দেশের জন্য বড় হুমকি তৈরি করেছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে আঞ্চলিক সামরিক সমীকরণকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।

 

news