যুক্তরাষ্ট্রের H-1B ভিসা প্রক্রিয়ার নতুন পরিবর্তন বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত নীতিতে বার্ষিক ফি ২১৫ ডলার থেকে বৃদ্ধি করে ১ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি প্রযুক্তি ও অন্যান্য শিল্পে বিদেশি কর্মীদের উপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
স্বাক্ষরের সময় ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকায় ‘দুর্দান্ত কর্মী’ দরকার এবং নতুন ফি নিশ্চিত করবে যে সেই যোগ্য লোকেরা আসছে।” প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই ফি কোম্পানিগুলিকে আমেরিকান কর্মী নিয়োগে উৎসাহিত করবে।
ফি কাদের প্রভাবিত করবে?
এই নতুন লাখ ডলারের ফি শুধুমাত্র নতুন H-1B আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৬ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বর্তমানে ভিসা থাকা কর্মীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি নিশ্চিত করেছেন যে বিদেশে থাকা ভিসাধারীদের পুনঃপ্রবেশে ফি আরোপ করা হবে না।
কোন শিল্প ও কোম্পানি প্রভাবিত হবে?
USCIS অনুযায়ী, H-1B ভিসার সবচেয়ে বেশি আবেদন কম্পিউটার-সংক্রান্ত কাজের জন্য (৬৪%)। এরপরে আসে স্থাপত্য, প্রকৌশল ও জরিপ (১০%) এবং শিক্ষা ক্ষেত্র (৬%)। সবচেয়ে বেশি ভিসা স্পনসর করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো অ্যামাজন, গুগল, মেটা, মাইক্রোসফট ও অ্যাপল।
ছোট কোম্পানি ও স্টার্টআপগুলোর জন্য লাখ ডলারের ফি বোঝা হিসেবে বড় হতে পারে, যা নতুন বিদেশি কর্মীদের নিয়োগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সম্ভবত বিদেশি প্রতিভা ধরে রাখতে উচ্চ বেতনের সুযোগ অব্যাহত রাখবে।
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য প্রভাব
নতুন ফি বিদেশি কর্মীদের জন্য entry-level চাকরিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ পরবর্তী নতুন স্নাতকরা। তবে উচ্চবেতনযুক্ত প্রযুক্তি ও কম্পিউটার সায়েন্স পেশায় এটি তেমন বড় প্রভাব ফেলবে না।
আইনি চ্যালেঞ্জ সম্ভাবনা
ভিসার উপর এই নতুন ফি আইনি বাধার সম্মুখীন হতে পারে। অ্যারন রেইচলিন-মেলনিক বলেছেন, “রাষ্ট্রপতির একক কর্তৃত্বের মাধ্যমে লাখ ডলারের ফি আরোপ করা সম্ভব নয়; কংগ্রেসের অনুমতি প্রয়োজন।”
সংক্ষেপে, H-1B ভিসার নতুন ফি বিদেশি কর্মী, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং মার্কিন শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে নিয়োগ, উচ্চ বেতন এবং বিদেশি প্রতিভা ধরে রাখার প্রক্রিয়ার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে।


