চাঁদপ্রেমীদের জন্য দারুণ সুখবর ২০২৫ সালের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে ৬ অক্টোবর রাতে। এদিন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করবে, ফলে আকাশে এটি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বড় ও উজ্জ্বল দেখা যাবে। জ্যোতির্বিদরা একে বলেন হার্ভেস্ট মুন, যা প্রতি বছর শরৎকালের শুরুতে দেখা যায়। এ বছর টানা তিনটি সুপারমুন দেখা যাবে, আর তার প্রথমটি হচ্ছে এই অক্টোবরের সুপারমুন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৫ সালের হার্ভেস্ট মুন শারদ বিষুবের কাছাকাছি সময়ে ঘটবে। বিষুবকালে সূর্য পৃথিবীর নিরক্ষরেখার ওপর দিয়ে যায়, ফলে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়। এই সময়ে আকাশে ভেসে ওঠা পূর্ণিমার চাঁদকে সাধারণের চেয়ে বড়, সোনালি-কমলা রঙের ও অতিরিক্ত উজ্জ্বল মনে হয়। বিশেষ করে যখন চাঁদ দিগন্তের কাছাকাছি থাকে, তখন তার সৌন্দর্য আরও অনন্য হয়ে ওঠে।

সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদ রাতভর ওঠে না, কিন্তু হার্ভেস্ট মুন তুলনামূলক দ্রুত ওঠে এবং একাধিক রাত ধরে আকাশে উজ্জ্বলভাবে জ্বলে থাকে। সন্ধ্যার সময় এটি বিশেষভাবে উজ্জ্বল দেখায়, যা একে অন্য পূর্ণিমার চাঁদের থেকে আলাদা করে তোলে।

হার্ভেস্ট মুনের নাম এসেছে ইতিহাস ও কৃষির সঙ্গে যুক্ত এক চমৎকার গল্প থেকে। প্রাচীন যুগে বিদ্যুৎ ছিল না। কৃষকেরা ফসল কাটার মৌসুমে সন্ধ্যার পরও চাঁদের আলোয় মাঠে কাজ করতেন। উজ্জ্বল চাঁদ তাঁদের বাড়তি সময় আলো দিত বলে এর নামকরণ হয় ‘হার্ভেস্ট মুন’।

জ্যোতির্বিদরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই রাতেই সুপারমুন দেখা যাবে। বিশেষ করে যখন এটি দিগন্তের কাছে থাকবে, তখন চাঁদ আরও বড় মনে হবে এবং গাঢ় সোনালি-কমলা আভা ছড়াবে।

সুপারমুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন নেই। শুধু খোলা আকাশে দিগন্ত বরাবর তাকালেই এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়বে। তবে আলোদূষণমুক্ত পরিবেশে দেখলে এর আসল সৌন্দর্য আরও ভালোভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে।

news