চলতি মাসের শুরুর দিকেই কাতারের রাজধানী দোহায় প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। সেই ঘটনায় নিহত হন কাতারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বৈঠকের সময় ফোনে আল থানির সঙ্গে কথা বলেন নেতানিয়াহু। সেখানেই তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনিচ্ছাকৃতভাবে নিহত কাতারি কর্মকর্তা বদর আল-দোসারির মৃত্যুর ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন নেতানিয়াহু।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, ফোনালাপে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হামলা ও কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা চান এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে ভবিষ্যতে কাতারের ভূখণ্ডকে আর লক্ষ্যবস্তু করা হবে না।

কাতারের মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফোনালাপের শুরুতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। কাতার জানিয়েছে, এটি ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট জটিলতা কমাতে মার্কিন প্রচেষ্টার অংশ।


গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, ওই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল হামাস নেতারা, যাদের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। হামলায় অন্তত পাঁচ হামাস সদস্য নিহত হন, তবে শীর্ষ নেতারা প্রাণে বেঁচে যান। একই ঘটনায় নিহত হন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বদর আল-দোসারি।

নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিরতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কাতার বিষয়টিকে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে, তবে ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি ভবিষ্যতে কতটা কার্যকর হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

news